গাজা ইস্যুতে করা বার্তা ট্রাম্পের, হামাসকে দিলেন শেষ সতর্কতা

গাজাকে নিয়ে ফের কঠোর অবস্থান নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যদি সকল পণবন্দিকে অবিলম্বে মুক্ত না করা হয়, তাহলে গাজা আরও ভয়াবহ ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। হামাস নেতাদের সরে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি।

ইজরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন

ট্রাম্প ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতি বন্ধের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, ইজরায়েল যাতে এই যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে শেষ করতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। ট্রাম্প পণবন্দিদের মুক্তি প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন—
“এখনই সব পণবন্দিকে মুক্ত করুন, দেরি করা চলবে না! যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের মৃতদেহ ফিরিয়ে দিন। আপনাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি হামাসের নেতৃত্বের জন্য শেষ সতর্কবার্তা। এখনো সময় আছে, গাজা ছেড়ে চলে যান!”

গাজার ভবিষ্যৎ ও যুদ্ধ পরিস্থিতি

ট্রাম্প আশ্বস্ত করে বলেছেন,
“গাজার জনগণের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।”
কিন্তু যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহ শান্ত থাকার পর আবার উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে। যদিও ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়াতে চায়

ইজরায়েলের নতুন সামরিক প্রধান ইয়াল জামির জানিয়েছেন—
“হামাস গুরুতর আঘাত পেয়েছে, কিন্তু এখনো পরাজিত হয়নি। মিশন এখনও অসম্পূর্ণ।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানি গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে “বিপর্যয়কর” বলে বর্ণনা করেছে এবং ইজরায়েলকে মানবিক সাহায্য সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

হামাসের সঙ্গে মার্কিন আলোচনা ও বন্দিদের অবস্থা

মার্কিন দূত অ্যাডাম বোহেলার আমেরিকান পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে হামাসের সঙ্গে নজিরবিহীন আলোচনায় বসেন। এর পরেই ট্রাম্পের কঠোর বার্তা সামনে আসে।
১৯৯৭ সালে প্যালেস্তাইন জঙ্গিদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে।

ইজরায়েল ও মার্কিন প্রশাসনের যৌথ তথ্য অনুযায়ী, বন্দিদের মধ্যে পাঁচজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন
➡️ চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।
➡️ ইদান আলেকজান্ডার এখনো জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের এই বার্তার পর গাজার পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়!