সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার রানিয়া, তদন্ত করতেই বেরিয়ে এলো একাধিক চমকপ্রদ তথ্য

দুবাই থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে দক্ষিণী অভিনেত্রী রানিয়া রাও-কে গ্রেফতার করল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI)। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ১৫ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২.৫৬ কোটি টাকা। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে নতুন তথ্য।
DRI-এর তদন্ত অনুযায়ী—প্রতি কেজি সোনা পাচারের জন্য রানিয়া ১ লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক পেতেন।বিশেষ ধরনের জ্যাকেট ও কোমরের বেল্ট ব্যবহার করে তিনি সোনা পাচার করতেন।গত ১ বছরে তিনি ৩০ বার দুবাই সফর করেছেন, যা গোয়েন্দাদের সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।জানা গিয়েছে, দুবাইতে তাঁর পরিবারের কেউ নেই, ব্যবসাও নেই, তবু এত ঘনঘন সফর করতেন তিনি।
রানিয়া বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চৌকি এড়িয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একজন কনস্টেবল, যা গোয়েন্দাদের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দেয়। আগাম তথ্যের ভিত্তিতে DRI তাঁকে ধরে ফেলে। রানিয়ার বেঙ্গালুরুর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
DRI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনা পাচারের পেছনে আরও বড় চক্র জড়িত থাকতে পারে। ইডি-ও তদন্তে নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কে এই রানিয়া রাও?
রানিয়া ২০১৪ সালের কন্নড় সিনেমা ‘মাণিক্য’-তে সুপারস্টার সুদীপের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।তিনি আরও অভিনয় করেছেন ‘ওয়াঘা’ (২০১৬) এবং ‘পটাকি’ (২০১৭)-এর মতো দক্ষিণী সিনেমায়।তিনি কর্ণাটক পুলিশের ডিজি (স্টেট পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশন) রামচন্দ্র রাওয়ের সৎ মেয়ে।
রানিয়া গ্রেফতারির পর দাবি করেছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করে সোনা পাচারে বাধ্য করা হয়েছে। গোয়েন্দারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এছাড়া সোনা কেনার অর্থ কোথা থেকে এল, তাও তদন্তের বিষয়।এই চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত এখনো চলছে, এবং ভবিষ্যতে আরও বড় চমক আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।