মর্মান্তিক দুর্ঘটনা: চলন্ত টোটোয় লরির সজোরে ধাক্কা, চালকের মৃত্যু, গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে বিধ্বস্ত

মালদায় ভোরবেলায় জোড়া দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে গাজোলে ভোর ৫টার দিকে। ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি টোটোকে পেছন থেকে লরি ধাক্কা মারার ফলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনজন নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হন। আহতদের প্রথমে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে তাদের অবস্থার অবনতি হলে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

নিহতরা হলেন মাছ ব্যবসায়ী নিজামুদ্দিন শেখ (৫৫), ললিত ভুইমালি (৬০) এবং টোটো চালক আলতাফ হোসেন (৪২)। গুরুতর আহত শামসুদ্দিন শেখ (৬০) একজন সবজি ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ভোরবেলায় টোটোয় করে তিন ব্যবসায়ী তাদের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে পদ্মপুকুর এলাকায় একটি লরি পিছন থেকে ধাক্কা মারে টোটোটিকে। এই ধাক্কায় টোটোটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত শামসুদ্দিন শেখকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে দুর্ঘটনাকারী লরিটি এখনও সনাক্ত করা যায়নি।

এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গাজোল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং তা গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃতদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

অন্যদিকে, পুরাতন মালদায় সকাল ৬টার দিকে দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পে লোডারে ধাক্কা মারে এবং পাশে থাকা একটি গাড়ির শোরুমে ঢুকে পড়ে। এই ঘটনায় শোরুমের একজন নিরাপত্তারক্ষী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়াও পে লোডারের চালক, তার সহকারী এবং লরির চালক গুরুতর আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই দুটি দুর্ঘটনায় মালদা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দুর্ঘটনাকারী যানবাহনগুলি সনাক্ত করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সড়ক নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যায়।