মিলারের ঐতিহাসিক শতরান, দল হারলেও ভেঙে দিলেন হবাগের ২৩ বছরের রেকর্ড

আরও একবার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলকে ‘চোকার্স’ তকমা মেনে নিতে হল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ রানে হারল প্রোটিয়া বাহিনী। ২০১৫ সালের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর আবারও একই দলের কাছে বিদায় নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এই হারের মধ্যেও আলোচনায় ডেভিড মিলারের অবিস্মরণীয় শতরান। মিলার একাই লড়াই চালিয়েছিলেন, আর তারই মধ্যে গড়ে ফেললেন বিশ্বরেকর্ড।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মিডল অর্ডারে একাই লড়াই চালিয়েছিলেন মিলার। ৬৭ বলে ১০০ রানের দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করলেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ৪টি ছক্কা। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে মিলার ২০০২ সালে হর্ষল গিবসের ৭৭ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও, মিলার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আইসিসি ইভেন্টের নকআউট ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়লেন। এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও তিনি শতরান করেছিলেন।
ম্যাচে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৩৬২ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। কেন উইলিয়ামসন (১০২) এবং রাচিন রবীন্দ্র (১০৮) জোড়া সেঞ্চুরি করে দলকে এই রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেন। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৩১২ রান করে। মিলারের পাশাপাশি রাসি ফান ডার ডাসেন (৬৯) এবং তেম্বা বাভুমা (৫৬) ভালো ইনিংস খেললেও তা দলকে জেতাতে পারেনি।
এই হারের মধ্যেও মিলারের শতরান দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে কিছুটা স্বস্তি এনেছে। তবে ক্রিকেট বিশ্বে আবারও প্রশ্ন উঠেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা কেন বড় ম্যাচে চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়? এবারও তারা সেমিফাইনালে থেমে গেল, আর মিলারের ঐতিহাসিক ইনিংস সত্ত্বেও জয়ের স্বাদ পেল না।