“আমারও কান্না পায়…”-সমর্থকদের ক্ষোভে উত্তাল গ্যালারি, ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের পদত্যাগ দাবি

এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে হতাশাজনক পরাজয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার রাতে সল্টলেক স্টেডিয়ামে আর্কাদাগের কাছে ০-১ গোলে হারতে হয় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। এই পরাজয়ের পর সমর্থকদের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের বিরুদ্ধে। ম্যাচ শেষে শীর্ষকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে সরব হন সমর্থকরা। এমনকি দেবব্রত সরকারকেও আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।
ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সমর্থকদের শান্ত করতে এগিয়ে আসেন জনপ্রিয় গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য। কিন্তু তার প্রচেষ্টা সফল হয়নি। বরং সমর্থকদের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। দেবব্রত সরকার হতাশ গলায় বলেন, “সমর্থকদের মধ্যে আমিও একজন। আমিও তাদের মতোই কষ্ট পাচ্ছি। দিমি (ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি স্ট্রাইকার) গত মরসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। তাকে নেওয়ার জন্য সমর্থকরা উন্মুখ ছিলেন। আমরা তাকে নিয়েছি। কিন্তু সে যদি পারফর্ম না করে, আমি কী করতে পারি? দল গঠনের দায়িত্ব কোচের হাতে। আমরা শুধু সমর্থন করি। সমর্থকদের কষ্ট হবেই, আমরাও কষ্ট পাচ্ছি। আমরা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছি।”
ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল বেশিরভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গোল করার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আর্কাদাগ ম্যাচের ১০ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় এবং বাকি সময় শক্তিশালী ডিফেন্সের মাধ্যমে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ প্রতিহত করে। অ্যাওয়ে ম্যাচ হওয়ায় আর্কাদাগ মূলত ডিফেন্সিভ কৌশলেই খেলেছে এবং সফল হয়েছে।
এই পরাজয়ের পর ইস্টবেঙ্গলকে এখন অ্যাওয়ে ম্যাচে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। কিন্তু প্রথম লেগের পারফরম্যান্স দেখে তা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো এখনও হাল ছাড়তে নারাজ। তিনি বলেন, “আমাদের আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে শুরুতেই গোল করতে হবে। সেটা না করতে পারলে জয় পাওয়া কঠিন হবে।”
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ক্ষোভ এবং দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শীর্ষকর্তাদের পদত্যাগের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, দ্বিতীয় লেগে ইস্টবেঙ্গল কীভাবে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে এবং সমর্থকদের আস্থা ফিরে পায়।