মেয়ের অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রেম, মানতে পারেননি বাবা! গলায় ফাঁস দিয়ে মেয়েকে পুড়িয়ে মারলেন বাবা

নিজের মেয়ের প্রেম মেনে নিতে পারেননি বাবা। সম্পর্ক ভাঙার জন্য বহুবার বলার পরও মেয়ে না শুনলে, তাঁকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে খুন করেন বাবা। এরপরও ক্ষান্ত হননি, মেয়ের মৃতদেহ পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেন। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টাকালে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত পঞ্চান্ন বছরের টি রমনজনেইলু তাঁর ২০ বছরের মেয়ে টি ভারতীকে গত ১ মার্চ অনন্তপুরে নিয়ে যান। একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মেয়ের গলায় দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন। এরপর মেয়ের দেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন, যাতে প্রমাণ লোপাট করা যায়।

কেন নিজের সন্তানকেই হত্যা করলেন বাবা? পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত জানান, গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর মেয়ের সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি এবং সম্পর্ক ভাঙার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু ভারতী কারও কথায় কর্ণপাত করেনি, বরং প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে। এমনকী প্রেম নিয়ে অশান্তির জেরে সে নিজের মায়ের সঙ্গেও কথা বলা বন্ধ করে দেয় এবং সম্পর্ক ভাঙতে বললেই আত্মহত্যার হুমকি দিত।

মেয়ের এই অবাধ্যতা এবং জেদের কারণেই রাগের মাথায় নৃশংসভাবে খুন করেন বাবা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং অভিযুক্তকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাজের এক চরম বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছে এই ঘটনা, যেখানে পারিবারিক সম্মানের জন্য এক বাবা নিজের সন্তানের জীবন পর্যন্ত কেড়ে নিতে পিছপা হননি।