সোমবারও স্কুলে গিয়েছিল প্রিয়ম্বদা, মঙ্গলবারই ঘটে আকস্মিক মৃত্যু, ট্যাংরায় আরো চাঞ্চল্য

কলকাতার ট্যাংরায় একই পরিবারের তিন নারী সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্তে নেমে ১৪ বছরের কিশোরী প্রিয়ম্বদা দে-র মৃত্যুকে এখন খুন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে তদন্তকারী দল, তবে তার আগেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

কলকাতার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল প্রিয়ম্বদা। তার স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পদার্থবিদ্যার পরীক্ষা ছিল এবং সে যথারীতি পরীক্ষা দিয়েছিল। স্কুলের শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, সে দিন প্রিয়ম্বদাকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক লেগেছিল, কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।

তবে বুধবারও তার পরীক্ষা ছিল, কিন্তু সে দিন আর স্কুলে যায়নি। স্কুলের তরফ থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি বলে জানিয়েছেন শিক্ষিকারা।

আরজি কর হাসপাতালে প্রিয়ম্বদার দেহের ময়নাতদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বালিশ বা নরম কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,

তার নাক থেকে এক ধরনের তরল বেরিয়েছে, যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে একসঙ্গে নাক ও মুখ চেপে ধরা হয়েছিল।
পুলিশের অনুমান, প্রিয়ম্বদাকে খুন করা হয়েছে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা আগেই।
কারণ, তার নাক থেকে বেরনো তরল ততক্ষণে শুকিয়ে গিয়েছিল।
পরিবারের বাকি দুই সদস্যের মৃত্যু রহস্যজনক
প্রিয়ম্বদা ছাড়াও তার মা রোমি দে এবং দিদিমার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে স্কুলে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হতবাক। তদন্ত চলছে, শীঘ্রই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরিষ্কার হতে পারে মৃত্যুর কারণ।