ফুলবাড়ি-বাংলাদেশ সীমান্তে করের বোঝা চাপানো এবং ভুটানের ট্রাককে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছে ট্রাক মালিকদের তিনটি সংগঠন। অবিলম্বে ভুটানের বোল্ডার বোঝাই ট্রাকের উপর নজরদারি এবং সুবিধা পোর্টালে ভুটানের ট্রাকগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

ফুলবাড়ি বর্ডার লোকাল ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, ফুলবাড়ি এক্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও ফুলবাড়ি ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। তারা সাত দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে আমরণ অনশনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ফুলবাড়ি বর্ডার লোকাল ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ শাহজাহান জানান, ভুটানের গাড়িগুলিকে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় কোনও রাজস্ব দিতে হয় না। কিন্তু তাদের গাড়ি বাংলাদেশ যেতে হলে সুবিধা পোর্টালে ২৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত রাজস্ব দিতে হয়। এই বৈষম্য চলতে থাকলে তাদের গাড়ি বিক্রি করে ঋণ মেটাতে হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ গাড়ি যাতায়াত করে এবং প্রতিটি গাড়িকে সুবিধা পোর্টালে রাজস্ব জমা করে ছাড়পত্র নিতে হয়। অথচ, এই সীমান্ত দিয়ে ভুটানের প্রায় ৩০০ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও তাদের কোনও টাকা দিতে হয় না। শিলিগুড়ির ট্রাক মালিকদের অভিযোগ, ফুলবাড়ির স্থানীয় কিছু নেতার মাধ্যমে ভুটানের ট্রাকগুলি অতিরিক্ত মাল বোঝাই করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

তাদের আরও অভিযোগ, ১০ চাকার ট্রাককে ১২ থেকে ১৪ চাকায় রূপান্তরিত করা হচ্ছে এবং এই ট্রাকগুলি থেকে নেতারা মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন, যা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে যাচ্ছে। শিলিগুড়ির ট্রাক মালিকরা এই বিষয়ে জেলাশাসক সহ প্রশাসনের একাধিক কর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

কিন্তু কোনও ফল না পাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে তারা দু’দিনের অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক সানা পারভিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সংক্ষেপে, ফুলবাড়ি সীমান্তে ভুটানের ট্রাকের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ট্রাক মালিকদের বিক্ষোভ পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।