শোকাহত ও মর্মাহত….লিখলেন মমতা, ‘শোকস্তব্ধ’ শুভেন্দুও, জেনেনিন কী বললেন বামফ্রন্টের নেতারা?

রাজনৈতিক দিগন্তে অস্ত গেল এক তারকা: দীর্ঘদিনের অসুস্থতা কাটিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চিরবিদায় নিলেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে রাজ্যের রাজনীতি শোকসাগরে নিমজ্জিত। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনের শেষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হয়ে থাকবেন। বৃহস্পতিবার পিস ওয়ার্ল্ডে তাঁর দেহ সংরক্ষণ করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের ডাকা হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কয়েকদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। রাজনীতি ছাড়াও, সহজ সরল জীবনযাপন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং নিষ্ঠা ছিল তাঁর পরিচয়। বুধবার থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে।
এদিন মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন, তাও তিনি জীবনযুদ্ধে ছিলেন, চিকিৎসকেরা চেষ্টা করছিলেন। আজ সকাল থেকে তিনি হঠাৎ করেই অসুস্থ হন। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। তাঁর প্রয়াত হওয়ার খবর সকলের কাছে শোকাবহ ও দুঃখজনক। তাঁর গুণগ্রাহী মানুষ, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা যাতে শেষশ্রদ্ধা জানাতে পারেন সে কারণে আজ তাঁর দেহ সংরক্ষণ করা হবে। পাম অ্যাভিনিউতে তাঁর আশেপাশের প্রতিবেশীরা আসবেন। তাঁর দেহ শায়িত থাকবে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ এখান থেকে নিয়ে গিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। আগামিকাল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে তাঁর দেহ শায়িত থাকবে। বিকেল ৪টে নাগাদ শেষযাত্রা হবে তাঁর দেহ দান করা হবে।”
শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও লেখেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত ও মর্মাহত। আমি তাঁকে গত কয়েক দশক ধরে চিনি এবং গত কয়েক বছরে যখন তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং কার্যকরভাবে বাড়িতে সীমাবদ্ধ ছিলেন তখন কয়েকবার তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম। শোকের এই মুহূর্তে মীরাদি ও সুচেতনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি সিপিআই(এম) পার্টির সদস্যদের এবং তার সমস্ত অনুগামীদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তাঁর শেষ যাত্রা ও অনুষ্ঠানের সময় আমরা তাঁকে পূর্ণ সম্মান ও আনুষ্ঠানিক সম্মান দেব।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবারের সদস্য ও অনুগামীর প্রতি সমবেদনা। তাঁর আত্মার চির শান্তি কামনা করি।”
শতাব্দী রায় এদিন বলেন, “খুব ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। আমার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। খুবই দুঃখের। প্রত্যেকবার অসুস্থ হয়েছেন, আবার সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। খুশি হয়েছি। একজন রাজনৈতিক ভালো মানুষ আজ চলে গেলেন।”
বিমান বসু বলেন, “আমি আজ দেরি করে ঘুম থেকে উঠে খবরটা জানতে পেরেছি। যখন খবর পেলাম উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না। খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ক্ষতি তো হল, তাই দেরি হল আসতে।” সূর্যকান্ত মিশ্র এদfন বলেন, “আজ তাঁর দেহ শায়িত থাকবে।”