বিশেষ: সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাগনে হিসেবে পরিচিত বুদ্ধদেব, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন

১৯৪৪ সালে উত্তর কলকাতার একটি বুদ্ধিজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণকারী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন। সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাগনে হিসেবে পরিচিত বুদ্ধদেব, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৪ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি পূর্ণকালীন রাজনীতিতে যোগ দেন।

জ্যোতি বসুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন রাজ্য সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর শাসনামলে রাজ্যে উন্নয়নের বেশ কিছু কাজ হলেও, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের মতো ঘটনায় তাঁর সরকার সমালোচিত হয়।

সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম:

সিঙ্গুরে টাটা ন্যানো কারখানা স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। নন্দীগ্রামেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। এই দুই ঘটনা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে প্রমাণিত হয়।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার:

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট একটি প্রবীণ নেতাকে হারাল। তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী কে হবেন, তা এখনও অস্পষ্ট। তবে এটা স্পষ্ট যে, তাঁর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।