হিংসা-রক্ত-মৃত্যু; মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে যেভাবে পতন হল হাসিনা সরকারের

২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল। এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আন্দোলনের মূল কারণ:

কোটা ব্যবস্থা: মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ব্যবস্থা ছাত্রদের মধ্যে অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সুযোগের সমতা: অনেকে মনে করতেন এই ব্যবস্থা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়ার সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।

সরকারের প্রতিক্রিয়া: সরকারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া আন্দোলন দমনে কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছিল।

আন্দোলনের প্রভাব:

আন্দোলনের তীব্রতা সরকারের উপর বিরাট চাপ তৈরি করেছিল।এই আন্দোলনের ফলে সামাজিক সচেতনতা বেড়েছিল এবং সুশাসনের দাবি আরও জোরালো হয়েছিল।
আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করেছিল, যদিও তা ধীরগতির ছিল।

সুপ্রিম কোর্টও ২১ জুলাই কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় দেয়। সরকারও তা মেনে নেয়। তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে তারপর আন্দোলন থেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছিল।

কিন্তু ছাত্রদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করা হয়েছে সেই অভিযোগে ফের আন্দোলন শুরু হয়। প্রথমে সেই আন্দোলন অহিংস থাকলেও সহিংস হয়ে পড়ে রবিবার থেকে।