ভারতীয়রা নিরাপদ বিনিয়োগ ছেড়ে নিচ্ছে উচ্চ লাভের ঝুঁকি, কমছে ব্যাঙ্ক আমানত!

ভারতীয়রা এখন নিরাপদ বিনিয়োগের জাল ছিঁড়ে উচ্চ লাভের লোভে ঝুঁকি নিতে চাইছে। শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ডের মতো পণ্যে বিনিয়োগের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। যুবক থেকে শুরু করে প্রবীণ সকলেই এই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। কিন্তু, সকলেই লাভবান হচ্ছে না।

চলতি বছরে ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ে লাখ লাখ পরিবার প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে। এই বিষয়টি আরবিআই ও কেন্দ্রের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে নতুন নিয়ম এনে এই ধরনের বিনিয়োগে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আশা করছেন, এই ক্ষতি থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ ফের মেয়াদি আমানতের মতো সুরক্ষিত বিনিয়োগে ফিরবে। তবে, তিনি মনে করেন, শুধু মেয়াদি আমানত দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা যাবে না। ব্যাঙ্কগুলিকে নতুন ধরনের বিনিয়োগ প্রকল্প নিয়ে আসতে হবে।

শেয়ারবাজার নিয়ামক সংস্থা সেবি চেয়ারপারসন মাধবী পুরী বুচ বলেন, “যদি প্রতি বছর ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়, তাহলে সেই টাকা আইপিও, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যেতে পারত।” সেবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে খুচরো বিনিয়োগকারীরা একাই ৫২ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে।

শেয়ারবাজারে মানুষের আগ্রহ বাড়ার ফলে ব্যাঙ্কগুলির আমানতে টান পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কগুলিকে নতুন উপায় বের করতে হবে।

শেবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৯২.৫ লক্ষ খুচরো বিনিয়োগকারী ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিবারগুলির সঞ্চয় নষ্ট হওয়ায় সকলেই চিন্তিত।

শেবি এই ধরনের বিনিয়োগে রাশ টানতে সাত দফা পরিকল্পনা নিয়েছে। বাজেটেও এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ব্যাঙ্কগুলি আশাবাদী যে, ডেরিভেটিভ বাজার থেকে মানুষ ফিরে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আসবে।