বাঘের দু’চোখ যেন সোনা-পান্না! বান্দিপুরের জঙ্গলে পাওয়া গেলো প্রথম প্রামাণ্য ছবি

কর্নাটকের বান্দিপুর জঙ্গলে এক অসাধারণ লেপার্ডের খোঁজ মিলেছে যার দুই চোখের রং আলাদা। এই বিরল ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং বন্যপ্রাণ প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ঘটনাকে হেটেরোক্রোমিয়া ইরিডিয়াম বলে। এটি একটি জিনগত বৈশিষ্ট্য যার ফলে একজন ব্যক্তির বা প্রাণীর দুই চোখের রং আলাদা হতে পারে। যদিও এই ঘটনা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়, জঙ্গলের লেপার্ডের ক্ষেত্রে এটি খুবই বিরল।
ওয়াইল্ডলাইফ ফোটোগ্রাফার ধ্রুব পাটিল এই লেপার্ডের ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিতে দেখা যায়, একটি চোখ সোনালী এবং অন্যটি পান্নার মতো সবুজ।
এই ঘটনার বৈজ্ঞানিক কারণ:
মেলানিনের পরিমাণ: চোখের মণির রং মেলানিন নামক একটি রঙ্গকের উপর নির্ভর করে। মেলানিনের পরিমাণ কম বা বেশি হওয়ার কারণে চোখের রং আলাদা হতে পারে।
জিনগত বৈচিত্র্য: দক্ষিণ ভারতের লেপার্ডের মধ্যে জিনগত বৈচিত্র্য বেশি দেখা যায়। এই বৈচিত্র্যই এই লেপার্ডের দুই রঙের চোখের কারণ হতে পারে।
বান্দিপুরের এই লেপার্ড কেন বিশেষ:
বিরল ঘটনা: জঙ্গলের লেপার্ডের মধ্যে এই ধরনের জিনগত বৈশিষ্ট্য খুবই বিরল।
প্রমাণ্য ছবি: এই লেপার্ডের ছবিটি এই ঘটনার প্রথম প্রামাণ্য ছবি।
জৈব-বৈচিত্র্যের প্রমাণ: এই ঘটনা বান্দিপুর জঙ্গলের জৈব-বৈচিত্র্যের একটি উদাহরণ।
এই ঘটনা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
প্রকৃতির বিস্ময়: প্রকৃতির রহস্য এবং বিস্ময়ের কোনো সীমা নেই।
জৈব-বৈচিত্র্য: ভারতের জঙ্গলে এখনও অনেক অজানা প্রাণী এবং তাদের বিচিত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সংরক্ষণ: এই ধরনের বিরল প্রাণীদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।
বান্দিপুরের এই লেপার্ড আমাদের সকলকে প্রকৃতির প্রতি আরও বেশি সচেতন হতে উৎসাহিত করে।