পলাতক জামাল নিজের সুইমিংপুলে কোন জাতের কচ্ছপ পুষত জানেন? জানালো বনদফতর

সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের বাড়ি বলা ভুল হবে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে আস্ত একটা রিসর্ট! আর সেখানেই রয়েছে ঘোড়া, কচ্ছপ সহ নানা প্রাণী।
কিন্তু বেআইনিভাবে!
বুধবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে বনদফতর। জামালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএফও মিলন মণ্ডল।
কচ্ছপ উদ্ধারের চেষ্টা, ব্যর্থতা!
মূলত, বাড়িতে কচ্ছপ পোষা বেআইনি। কার অনুমতি নিয়ে তিনি সুইমিংপুলে কচ্ছপ পুষছিলেন? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করে বারবারে।
এরপর বাড়িতে কচ্ছপ উদ্ধার করতে রাত্রিবেলাই মিলন মণ্ডলের নির্দেশে বারুইপুর রেঞ্জ অফিস থেকে একটি ৬ সদস্যের দল প্রথমে সোনারপুর থানায় যায়, তারপর জামাল সর্দারের বাড়ি। তাদের হাতে ছিল জাল ও কচ্ছপ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যান্য সামগ্রী।
কিন্তু রাত ১০ টা থেকে প্রায় সাড়ে এগারোটা অবধি অপেক্ষা করার পর ফিরে যেতে হয় তাদের। কারণ জামাল সর্দারের ‘রাজপ্রাসাদের’ গেটে তালা দেওয়া ছিল।
অবশেষে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর গেটের চাবি না পাওয়ার কারণে কচ্ছপ উদ্ধার না করেই ফিরে যেতে হয় বনদফতরের দলটিকে।
আইনি পদক্ষেপ
এ দিকে, বনদফতরের আধিকারিক জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন’ ধারায় মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছেন।
বনদফতর সূত্রে খবর, জামালের বাড়িতে যে কচ্ছপ দেখা গিয়েছে তার বিজ্ঞান সম্মত নাম ‘ইন্ডিয়ান সফ্ট শিল্ড টারটেল’। আর বেআইনিভাবে এই কচ্ছপ বাড়ির সুইমিংপুলে রাখার জন্য সর্বোচ্চ তিন থেকে সাত বছরের জেল ও ২৫ লক্ষ টাকার জরিমানা হতে পারে বলে জানালেন ডিএফও মিলন মণ্ডল।