কুলতলির সুড়ঙ্গের রহস্য সমাধান হলো না? রহস্য উন্মোচনের চেষ্টায় পুলিশ

নকল সোনার মূর্তি বিক্রি চক্রের মূল পাত্র সাদ্দাম সর্দার ও তার ভাই সাইরুলকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। ঘটনার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও তাদের কোনো হদিস মেলেনি।
সোমবার, পুলিশ অভিযানে আক্রান্ত হওয়ার পর, সাদ্দামের স্ত্রী রাবেয়া সর্দার ও মাসুদা সর্দারকে মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান।
এদিকে, পুলিশের ধরপাকড়ের ভয়ে পুরুষশূন্য পয়তারহাট গ্রামে সাদ্দামের এক সহযোগী আপতার সর্দারকে আটক করা হয়েছে।
তল্লাশিতে, সাদ্দামের বাড়িতে একটি গোপন সুড়ঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই সুড়ঙ্গ বেশ কয়েক বছর আগেই তৈরি করা হয়েছে। তবে কোন কাজে ওই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হতো তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদ্দাম এর আগে একবার ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল।
অভিযোগ উঠেছে, নকল সোনা ও মূর্তি দেওয়ার নাম করে বাইরে থেকে আসা লোকজনকে খুন পর্যন্ত করেছে সাদ্দাম বাহিনী।
বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল ও পুলিশের একাংশের মদতেই সাদ্দামের ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, তৃণমূল বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, “সাদ্দাম তৃণমূলের কেউ নয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করুক।”
এই ঘটনায় এখনও অনেক রহস্য অমীমাংসিত। পুলিশ দ্রুত সাদ্দাম ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করে রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে।