আসানসোলে ফের ছেলেধরা ‘গুজব’, পুলিশের উপরেও হামলা, ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়

আসানসোল উত্তর থানার ব্লু ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ভানোড়া খোলামুখ কয়লাখনি এলাকায় শুক্রবার রাতে ‘ছেলেধরা’ ঢুকেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
এই গুজবের জের ধরে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
হামলায় একজন সিভিক ভল্যান্টিয়ার আহত হন এবং পুলিশের বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘটনার পর ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে ডিসি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস বলেন, “শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ একটি বিক্ষোভ চলছে বলে জানতে পারে পুলিশ। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের উপরে হামলা চালান হয়। তাতে একজন সিভিক ভল্যান্টিয়ার আহত হন। আরও কয়েকজনের অল্প আঘাত লাগে। পুলিশের কয়েকটি গড়িও হালকা ড্যামেজ হয়েছে। কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে এসেছে। সেগুলি দেখে মূল হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর উৎপল সিংহ বলেন, “ছেলেধরা গ্রামে এসেছে, রাত ৯টা নাগাদ এই ধরনের গুজব রটে যায়। আশেপাশে চার-পাঁচটা আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। পুলিশ পৌঁছতেই তারা ঘাবড়ে যায়। নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষোভ শুরু হয়। তরপরেই শুরু হয় বচসা ও বাকবিতণ্ডা। যা হয়েছে ভুল তা বোঝাবুঝির ফলেই হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবারও পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনাগুলো স্পষ্টতই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলার একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা।
প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এই প্রবণতা রোধ করতে হবে।
এছাড়াও, ‘ছেলেধরা’ গুজবের বিরুদ্ধেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
এই গুজবগুলো প্রায়শই ভিত্তিহীন হয় এবং তা সমাজে ভীতি ও অস্থিরতা ছড়ায়।
সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে এবং এই গুজবগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।