হাথরসের ঘটনায় মৃত বেড়ে ১২১, সৎসঙ্গের দুর্ঘটনায় পুলিশের FIR থেকে বাদ ভোলে বাবা

উত্তর প্রদেশের হাথরসে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভিড়ে চাপা পড়ে ১২১ জনের মৃত্যুর ঘটনা এখন দেশের শীর্ষ আদালতে। বুধবার সকালে এই ট্র্যাজেডিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রশাসনের চূড়ান্ত গাফিলতি এবং দায়িত্ববোধের অভাব ছিল।
পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে এর আগেও একাধিকবার, কিন্তু যোগী সরকার কোনও শিক্ষা নেয়নি।

হাথরস ট্র্যাজেডিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১।শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত।

প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কীভাবে এই ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।পলাতক স্বঘোষিত গডম্যান ‘ভোলে বাবা’-র কোনও সন্ধান মিলছে না।

উত্তর প্রদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে একটি FIR দায়ের করা হয়েছে।FIR-এ মুখ্য সেবাদার দেবপ্রকাশ মধুকর, সৎসঙ্গের অন্য আয়োজকদের নাম থাকলেও ভোলে বাবার নাম নেই।

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ (অনিচ্ছাকৃত খুন), ১১০ (অপরাধমূলক হত্যার চেষ্টা), ১২৬ (২) (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা), ২২৩ (সরকারী কর্মচারী দ্বারা যথাযথভাবে জারি করা আদেশের অবাধ্যতা), ২৩৮ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

ঘটনার তদন্তের জন্য ADG আগ্রা এবং আলিগড় ডিভিশনাল কমিশনারকে নিয়ে টিম তৈরি করা হয়েছে।আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ জানিয়ে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে এই টিমকে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, “আমাদের সরকার গভীরে গিয়ে এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। কেউ ষড়যন্ত্র করে থাকলে তাকেও রেয়াত করা হবে না।”
তিনি আরও বলেছেন, “এই ধরণের ঘটনাকে রাজনীতির রং দেওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দাজনক। এই সময় সংবেদনশীল হয়ে মৃতদের পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানানো উচিত।