BigNews: ২৫৭৫৩ জন তাকিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দিকে, স্থগিতাদেশের আশায় চাকরিহারারা

হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারানো প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর জন্য আজ সুপ্রিম কোর্টে যেন বিচারের দিন। হতাশার দীর্ঘ অন্ধকারে তাঁদের একমাত্র আশার আলো এই শুনানি।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলার শুনানি নেবেন। আগামী ২৪ ঘণ্টা কর্মচ্যুতদের কাছে যেন অসহ্য দীর্ঘ যাত্রা।
কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ – যেখানে যে সকল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী তাদের চাকরি হারিয়েছেন, তারা সকলেই এক হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায়।
গার্ডেনরিচের নাদিয়াল হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক রাজীব হাঁসদা, কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনের ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, হুগলির জিরাটের কৌশিক মণ্ডল, শিক্ষাকর্মী বিকাশ পাল সহ আরও অনেকেই তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিতে পৌঁছে গেছেন।
তাদের একমাত্র আকাঙ্ক্ষা সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে স্থগিতাদেশ পাওয়া। ফোনে ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলের গলায় উদ্বেগের সুর স্পষ্ট।
এই মুহূর্তে এই ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর ভাগ্য নির্ধারণের অপেক্ষায় দেশের শিক্ষাঙ্গনে উত্তেজনা। সকলেই প্রার্থনা করছেন, আজকের রায় তাদের জন্য অনুকূল হোক।
তিনি বলছিলেন, ‘স্থগিতাদেশ না পেলে আমাদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন বটে, বেতন দিয়ে যাবেন, কিন্তু আমরা তো বুঝি, তা আইনত সম্ভব নয়।’ রাজীবের মুখে ধরা পড়ল শিক্ষকদের মরিয়া চেষ্টা, ‘এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ আনা।’
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশের অপেক্ষার কথা ধরা পড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়।
মালদার সুজাপুরে রবিবার নির্বাচনি জনসভায় তিনি বলেন, ‘আপনারা ভাবুন তো আপনার ঘরের ছেলেমেয়েদের যদি চাকরি বাতিল হয়ে যায় আর সাত বছরের চাকরির বেতন ১২ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দিতে হয়, তাহলে আপনার অবস্থাটা কেমন হবে। আমরা মেনে নেব না। আমরা কোর্টে গিয়েছি। এই চাকরিখেকোদের মানি না, মানব না।’
মমতা বলেন, ‘অনেকে বলছেন, চারশো পেরোতে পারবে না। আমি বলি আবকে বার পগারপার। ওরা দুশোও পেরোতে পারবে না।’