‘OMR শিট খালি রাখিনি, ৫১ পেয়েছিলাম’, কোন ভিত্তিতে চাকরি গেল? প্রশ্ন স্বর্ণালীর

অশোকনগরের স্বর্ণালী চক্রবর্তী কান্না জড়িয়ে বলছিলেন, “OMR শিটেও নম্বর জ্বলজ্বল করছে। কোন ভিত্তিতে আমরা অযোগ্য?” গ্রীষ্মের ছুটিতে রুটিন বদলেছিল, কিন্তু ছুটির মধ্যেই জীবন বদলে যাবে ভাবতেও পারেননি তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যাঁদের চাকরি গেছে, তাদের মধ্যে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কলশুর হাই স্কুলের এই শিক্ষিকা। রায়শুনে সোমবার চোখে জল এসেছিল স্বর্ণালীর। কিন্তু মঙ্গলবার থেকেই তাঁর কণ্ঠে লড়াইয়ের সুর।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি আফসোস, ক্ষোভ ও রাগ মেশানো গলায় বলেন, “একজন নামজাদা আইনজীবী বলেছেন যোগ্যরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করুক। SSC OMR শিটে প্রাপ্ত নম্বর জানিয়ে দিয়েছে। ফাঁকা খাতা জমা দিইনি আমি। আমাদের বলে দিন, যোগ্যতা প্রমাণ করতে গেলে কী কী করতে হবে?”
স্বর্ণালী আরও বলেন, “২০১৬ সালের SLST-তে নবম-দশমে আমরা চাকরি পেয়েছিলাম। আমার র্যাঙ্ক ছিল ৪১। আমরা ফর্ম ফিলাপ করে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। তারপর আমাদের নথি ভেরিফিকেশন হয়েছিল। চাকরির ইন্টারভিউ হয়, কাউন্সেলিং হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আমরা নিয়োগপত্র হাতে পাই। আমরা এর বাইরে কিছু জানি না। আমাকে যদি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করার পর নিয়োগ দেওয়া হয়, আমি কি দেখতে যাব যে ভেতরে কী কী দুর্নীতি হয়েছে?”