বিশেষ: ৭৭ বছরে ভারতের জনসংখ্যা দ্বিগুণ! রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ

ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৪৪.১৭ কোটি, যা ২০১১ সালের আদমশুমারির ১২১ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।চীনের জনসংখ্যা ১৪২.৫ কোটি।২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে, ভারতের জনসংখ্যা চীনের জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে অনুমান করা হয়েছিল।২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে চীনের চেয়ে বেশি।

দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দেশের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যেমন:

পরিষেবা: শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য, বাসস্থান, ইত্যাদির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কর্মসংস্থান: বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিবেশ: পরিবেশের উপর চাপ বাড়ছে।

জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য:

ভারতের জনসংখ্যার প্রায় 24% 0-14 বছর বয়সী।
15-64 বছর বয়সীদের সংখ্যা 68%।
65 বছর বা তার বেশি বয়সীদের সংখ্যা 7%।
পুরুষদের গড় আয়ু 71 বছর এবং মহিলাদের 74 বছর।

সরকারের পদক্ষেপ:

জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মোদী সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।এই কমিটির লক্ষ্য হল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন দিকগুলি পরীক্ষা করা এবং সুপারিশ করা।২০২৩ সালের বাজেটে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন “অমৃত কাল”-এর রূপরেখা তুলে ধরেছেন, যেখানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ভবিষ্যতের দিকে:
ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি জটিল সমস্যা যার সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন।সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং নাগরিকদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির উপরও জোর দেওয়া প্রয়োজন।নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণও গুরুত্বপূর্ণ।একটি টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য, ভারতকে তার জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্যের সুবিধা নিতে হবে এবং তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সকলকে সুযোগ প্রদান করতে হবে।