জলপাইগুড়ির ‘মিনি টর্নেডো’ বড় বিপদের ইঙ্গিত? ব্যাখ্যা দিলেন আবহাওয়া দফতরের কর্তা

রবিবার বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ করে আকাশ কালো হয়ে আসে জলপাইগুড়িতে। চোখের পলকেই দানবের মতো তাণ্ডব শুরু করে ঘূর্ণিঝড়। জলপাইগুড়ি শহর সহ ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি – বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রভাব পড়ে এই ঝড়ের।

এই ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। কিন্তু হঠাৎ কেন রুদ্ররূপ নিল প্রকৃতি? জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কি এখন থেকেই এতটা তীব্র? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।

জলপাইগুড়িতে যে দৃশ্য দেখা গেছে তাতে অনেকেই মনে করছেন এটি ছিল টর্নেডো। টর্নেডো হলো একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় যা ভূমি স্পর্শ করে।

গ্যাংটক আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনাটি একটি মিনি টর্নেডো। ঝড়ের গতিবেগ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই। তবে গাছপালা ভেঙে পড়ার ধরণ দেখে অনুমান করা হচ্ছে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি ছিল।”

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে টর্নেডো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ২০১৯ সালেও কোচবিহারে টর্নেডো তাণ্ডব চালিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা আরও বেড়ে যেতে পারে।

এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন।আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস নিয়মিত খোঁজ নেওয়া এবং ঝড়ের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

জলপাইগুড়ির ঘটনায় আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন জিওমর্ফোলজিস্ট ড. সুজীব কর। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা এবং ভূমিভাগের তাপমাত্রা যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে যে কোনও মুহূর্তে এই ধরনের সাইক্লোন তৈরি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঝড় বেশি স্থায়ী হয় না। তবে ক্ষতি করার ক্ষমতা অনেক বেশি হয়। জলপাইগুড়ির ঝড়টা টর্নেডো। এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে তাতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।’