OMG! লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে প্রধান শিক্ষক, স্কুল ভবন নির্মাণের ইট বহন করছে পড়ুয়ারা

রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোলে একটি বেসরকারি জুনিয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লাঠি হাতে খুদে ছাত্রদের দিয়ে ভবন তৈরির ইট বহন করার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এই ঘটনার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের সীমানা প্রাচীরের বাইরে রাখা হাজার হাজার ইট বহন করছে ছাত্ররা। লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে তাদের তদারকি করছেন প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনায় শিক্ষামহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল ও প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

তবে, রাজা রামমোহন জুনিয়র শিক্ষানিকেতনের প্রধান শিক্ষক হজরত আলি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পর ছাত্রদের শরীর ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। তাই তারা নিজেরাই বাইরে থেকে ইটগুলি নিয়ে স্কুলের ভিতরে নিয়ে আসছিল। আমি তা দেখতে পেয়েই তাদের লাঠি নিয়ে তাড়া করি। এরপর তারা ইট রেখে পালিয়ে যায়।”

প্রধান শিক্ষকের এই দাবি মানতে চাননি গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, স্কুলের মালিক নিজেই প্রধান শিক্ষক। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে পড়ুয়াদের দিয়ে ভবনের ইট বহন করিয়েছেন।

বিন্দোলের রতনপুরে অবস্থিত এই বেসরকারি জুনিয়ার স্কুলে প্রায় ২৫০ জন পড়ুয়া আছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু এই ঘটনায় তাদের আবেদন বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বঙ্গরত্ন অমিত সরকার বলেছেন, “সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে খুদে পড়ুয়ারা ইট বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সন্তানতুল্য খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে এই কাজ কখনই করানো যায় না। প্রশাসনের তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।”

বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিন্নাতুন খাতুন বলেছেন, “অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রশাসনকে তদন্ত করার জন্য বলব। এভাবে কখনই খুদে পড়ুয়াদের দিয়ে ভারী কাজ করানো যায় না। যদি হয়ে থাকে তবে খুব অন্যায় হয়েছে।”

রায়গঞ্জ উত্তর অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কল্যাণী ওরাওঁ বলেছেন, “স্কুলটি এনওসির জন্য আবেদন করেছে। কীভাবে ছাত্রদের দিয়ে এই ধরনের কাজ করানো হল তা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।