“এমপি-এমএলএ-র কাঁধে কি চিপ বসাব?”- হুঁশিয়ারি দিলো সুপ্রিমকোর্ট

সুরিন্দর নামে এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন যে, 24 ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেশের সকল সাংসদ-বিধায়কদের উপর নজরদারি রাখা উচিত। এমনকি, তিনি চান যে এই ফুটেজ যেন প্রতিটি নাগরিক তাদের ফোনে দেখতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড় বলেন, “আপনি কি জানেন আপনি কী দাবি করছেন? তাছাড়া, সাংসদ-বিধায়কদেরও পারিবারিক জীবন রয়েছে। তাদের গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে। এ বিষয়ে আদালত কীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে?”
সুরিন্দরের আইনজীবী যুক্তি দেন যে, “নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি-এমএলএরা নিজেদেরকে শাসক মনে করেন, জনপ্রতিনিধি ভাবেন না। তাই তাদের উপর সিসিটিভি নজরদারি প্রয়োজন।”
প্রধান বিচারপতি এই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, “একমাত্র দাগি আসামিদের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বুঝে এমন কাজ করা যেতে পারে, আর কারো ক্ষেত্রেই নয়।”
আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের মামলা আর করা যাবে না। এটি আদালতের সময় নষ্ট করে।
এই রায় গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার অধিকারের গুরুত্বকে তুলে ধরে। একই সাথে, এটি জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার প্রশ্নও তুলে ধরে।