বিশেষ: বাংলার সবচেয়ে বিষধর ৭ সাপ, চিনবেন যেভাবে, জেনেনিন তাদের লক্ষণ

বিশ্বের অন্যতম হিংস্র এই প্রাণী সাপকে দেখে মোটেই ভয়ংকর মনে হয় না। বরং নিরীহ প্রাণীর তালিকায় রাখা যায়। তবে সাপের কিছু প্রজাতি হয় বিষাক্ত। যার কামড়ে সঙ্গে সঙ্গে একজন মানুষ মারা যেতে পারে। যে কারণে মানুষ একে ভয় পেয়ে দূরেই রাখেন। জানেন কি? আজ ১৬ জুলাই বিশ্ব সাপ দিবস।
প্রতি বন্যার সময় অর্থাৎ মে, জুন এবং জুলাই-এই তিন মাস সাপের দংশন এবং তার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ে। অন্য সময়ে সাপের দেখা লোকালয়ে কম হলেও বর্ষায় চারদিক পানি থাকায় সাপের দেখা মেলে বেশি। এজন্য এসময় প্রায়ই সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংবাদ শোনা যায়।
কয়েকটি বিষধর সাপ সম্পর্কে জেনে রাখুন-
চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার
চন্দ্রবোড়ার আরেক নাম উলুবোড়া।যেসব সাপ দেখা যায়, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বিষাক্ত। এই সাপটি প্রায় একশো বছর আগে বাংলাদেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, অর্থাৎ পরপর কয়েক দশকে এর একটি সাপেরও দেখা মেলেনি। কিন্তু গত ১০/১২ বছর আগে থেকে আবার এই সাপে দংশনের প্রমাণ দেখা যায়।
কিং কোবরা বা শঙ্খচূড়
একে রাজ গোখরা এবং পদ্ম গোখরাও বলা হয়। ভয়াবহ বিষধর এই শঙ্খচূড় অন্য গোখরার তুলনায় আকৃতিতে বেশ লম্বা। এর ফণায় অন্য গোখরার মতো চশমার মতো বলয় থাকে না। শঙ্খচূড় বাংলাদেশ, ভুটান, বার্মা, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এসব দেশে বেশি দেখা যায়। এই সাপ ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় থাকতে পছন্দ করে।
ক্রেইট, কেউটে বা শঙ্খিনী
এই সাপকে শঙ্খিনী এবং শাঁকিনী সাপ নামেও ডাকা হয়। শ্রীমঙ্গলে দেখা মেলে এই সাপের। পৃথিবীতে ক্রেইট বা শঙ্খিনী জাতের সাপের মোট ৮টি প্রজাতি রয়েছে, এর মধ্যে ৫টি প্রজাতি পাওয়া যায়। এই ক্রেইট জাতের সাপকে স্থানীয়ভাবে কেউটেও বলা হয়। এ সাপ বাড়ির আশপাশে বা লাকড়ির মধ্যে শুকনো জায়গায় থাকে।
নায়া নায়া
বৈজ্ঞানিক নাম নায়া নায়া হলেও এটি কোবরা বা গোখরা প্রজাতির সাপ। এটি স্থলভূমির সাপ, এটি ফণা তোলে এবং এর ফণায় চশমার মতো দুইটি বলয় থাকে। দেশের পশ্চিম অংশেই অর্থাৎ রাজশাহী অঞ্চলের দিকে প্রধানত এ সাপের বসবাস।
নায়া কাউচিয়া
এটিও গোখরা প্রজাতির সাপ, স্থানীয়ভাবে একে জাতি সাপ বা জাত সাপও বলে থাকে। এই সাপটিকে জউরা নামেও ডাকা হয়। এটি মূলত দেশের পূর্ব অংশ অর্থাৎ সিলেট, নোয়াখালী এলাকায় বেশি থাকে। দেশে যত সর্প দংশনের ঘটনা ঘটে, এর কামড়ে ঘটে সর্বোচ্চ। এ সাপ ফণা তোলে।
কালো নাইজার
এটিও শঙ্খিনী জাতের সাপ এবং প্রচুর সংখ্যায় রয়েছে এই সাপ। এটি চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চল, নোয়াখালী এবং সুন্দরবন অঞ্চলে দেখা যায় বেশি।