BigNews: ১০০ দিনের টাকা মেটাবে সরকার, শ্রমিকদের জন্য ফর্ম ফিল আপ শুরু মহুয়ার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা রাজ্য সরকার দেবে বলে ঘোষণা করার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, নদিয়ার চাপড়া এলাকায় সহায়তা শিবিরে গিয়ে শ্রমিকদের ফর্ম ফিলাপ করে দিয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
চাপড়া ব্লকের মোট পাঁচটি সহায়তা শিবিরে যান মহুয়া। তিনি মহৎপুর, চাপড়া ১, চাপড়া ২, হাতিশালা ১ এবং হাতিশালা ২ পঞ্চায়েতের শিবিরে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন এবং যারা ফর্ম ফিলাপ করতে পারেননি তাদের সাহায্য করেন।
চাপড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি শুকদেব ব্রহ্ম বলেন, “এই সহায়তা শিবিরের সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। দিল্লির সাথে বাংলার লাখ লাখ শ্রমিকদের লড়াই চলছে। তাই বাংলার জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী বাংলার শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা ও মুজরি দিতে চাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত এই প্রকল্পে সঙ্গী হতেই চাপড়ার বিভিন্ন এলাকায় এসেছেন মহুয়া মৈত্র।”
শুধু নদিয়া নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এই ধরণের সহায়তা শিবির দেখা যাচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার বিলকান্দা ১ এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিকদের ২ বছরের বকেয়া পারিশ্রমিক পাওয়ার জন্য ৭ দিনের সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
এই সহায়তা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন রাজ্যের কৃষি ও পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনও মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি। ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের প্রাপ্য দু’বছর বকেয়া টাকা দেবেন।”
মন্ত্রী ছাড়াও এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিলকান্দা ১ এবং ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, ব্যারাকপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের সদস্য এবং তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই সহায়তা শিবিরগুলি ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের তাদের বকেয়া পাওনা দ্রুত এবং সহজে পেতে সাহায্য করবে।