“মন্দির ওয়াহি বানায়েঙ্গে…”, জেনেনিন ভারতরত্ন আডবানির জনপ্রিয় স্লোগানের নেপথ্য কাহিনি

২২ জানুয়ারি ২০২৪: লালকৃষ্ণ আডবানির জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন। দুইশ বছরের বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে, যদিও শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবুও ঘরে বসেই এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারি।

রাম রাজ্যের স্বপ্ন:

লালকৃষ্ণ আডবানি ছাড়া রাম মন্দির আন্দোলনের ইতিহাস এবং BJP-র রাম রাজ্যের স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব ছিল। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে লালকৃষ্ণ আডবানিকে ভারতরত্নে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার।

মন্দির ওয়াহি বানায়েঙ্গে:

১৯৯০ সালে, লালকৃষ্ণ আডবানি দেশবাসীকে রাম মন্দির নির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। ‘মন্দির ওয়াহি বানায়েঙ্গে’ স্লোগান দিয়ে গুজরাটের সোমনাথ থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার রথযাত্রা শুরু করেছিলেন। বিহারে রথযাত্রা বাধাগ্রস্ত হলেও, লালকৃষ্ণ আডবানির দৃঢ়তা দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করে।বাধা পেয়ে রথের উপর দাঁড়িয়েই লালকৃষ্ণ আডবানি বলেন, ‘সকলেই বলছেন আপনি আদালতের রায় মান্যতা দিচ্ছেন না। এখানে রামলালার জন্মভূমি ছিল কি না, রাম এখানে জন্মেছিলেন কি না, তা আদালত জানাবে এ কথা আপনি বিশ্বাস করেন না? আপনাকে এইটুকুই অনুরোধ, মাঝপথে বাধা দেবেন না। রাস্তা থেকে সরে যান। এই রথ জনতার রথ।’ এরপরই প্রবীণ এই BJP নেতার বার্তা ছিল, ‘মন্দির ওয়াহি বানায়েঙ্গে। কে আটকাবে আমাদের? কোন সরকারের এত ক্ষমতা আছে?’

বিতর্ক এবং সম্মান:

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় লালকৃষ্ণ আডবানি সহ অনেকে অভিযুক্ত হন।

তবুও, দেশের প্রতি নিষ্ঠা এবং রাম মন্দির আন্দোলনে অবদানের জন্য তিনি ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন।

ভারতরত্ন পেয়ে লালকৃষ্ণ আডবানি বলেন:

“যেদিন থেকে RSS-এ যোগদান করেছি আমি কেবলমাত্র দেশের প্রতি নিজের আত্মত্যাগের জন্যই পুরস্কার চেয়েছিলাম। প্রিয় দেশের জন্য যা যা প্রয়োজন আমি করেছি। এটা কেবলমাত্র একটি পুরস্কার নয়, যে নীতি এবং আদর্শকে আমি বহন করি, সেটির সম্মান।”

লালকৃষ্ণ আডবানির জীবন রাম মন্দির আন্দোলনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ভারতরত্ন সম্মান তার দীর্ঘ জীবনের কৃতিত্বের প্রতি সম্মান।