“জর্ডানে হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”

জর্ডানে মার্কিন বাহিনীর ওপর মারাত্মক ড্রোন হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত বা বৃহত্তর যুদ্ধ চান না। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গত রোববার জর্ডানের উত্তরপূর্বাঞ্চলে সিরিয়া ও ইরাক সীমান্ত সংলগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত ও ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়।

গতবছর অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই অঞ্চলে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর ওপর বহু হামলা হলেও এটিই প্রথম প্রাণঘাতী হামলা ছিল।

হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ইরান সমর্থিত কট্টর গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং ‘এর জবাব দেওয়া হবে’। এমন অবস্থায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা।

জবাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ’। হামলার ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করা উচিত কিনা তাও তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, আমি তাদের (ইরানকে) এই অর্থে দায়ী করি যে, যারা এই হামলা করেছে তারা (ইরান) তাদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইরান-সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী জর্ডানের ওই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে।

তবে বাইডেন প্রশাসন এর আগে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চায় না। আর এখন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওই হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানালেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এর জবাব দিতে পারে সে সম্পর্কে বাইডেন বিস্তারিত কিছু বলেননি।

হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিক্রিয়ায় ‘কয়েকটি স্তরের পন্থা’ বেছে নিতে পারে।

ফ্লোরিডায় নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের ক্যাম্পেইনে যোগদানে বাইডেনের সফরের জন্য এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপ নয়, সম্ভাব্য একাধিক পদক্ষেপ থাকতে পারে… সময়ের সাথে সাথে সেগুলো সামনে আসতে পারে।

কিরবি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট আমাদের সেনা এবং আমাদের অবকাঠামোগুলো রক্ষা করার জন্য এবং আমাদের জাতীয় সুরক্ষার জন্য যা করতে হবে তা করবেন।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও অবশ্য বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন বলেছেন, আমরা (হামলার) প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া বহু-স্তরীয় হতে পারে, পর্যায়ক্রমে আসতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে চলতে পারে।