রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা, জয়ধ্বনিতে স্বাগত জলপাইগুড়ির মানুষের

দক্ষিণবঙ্গে যাত্রা শুরুর পর দ্বিতীয় দিন জলপাইগুড়িতে রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। দেড় কিলোমিটার রোড শোতে দলে দলে কর্মী-সমর্থকরা পা মেলান।

রবিবার সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। সেখান থেকে সড়কপথে জলপাইগুড়ি পৌঁছান তিনি। পিডব্লুডি মোড় থেকে শুরু হয় রাহুল গান্ধীর রোড শো। কদমতলা চকের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় দুই পাশের মানুষের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। আশেপাশের মানুষের সঙ্গে হাত মেলান, কেউ কেউ তাঁর দিকে উপহারও বাড়িয়ে দেন। ঢাক-ঢোক ও জয়োধ্বনীর মাধ্যমে রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানান জলপাইগুড়ির মানুষ।

রোড শো শেষে জলপাইগুড়ির একটি হোটেলে সভায় যোগ দেন রাহুল গান্ধী। সভায় তিনি বলেন, “আজকের ভারতে ন্যায় নেই। দরিদ্র, প্রান্তিক মানুষরা ন্যায় পাচ্ছে না। কৃষক, শ্রমিকরা ন্যায় পাচ্ছে না। এই ন্যায়হীনতাকে দূর করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করব।”

সভা শেষে রাহুল গান্ধী শিলিগুড়ি যান। সেখানেও থানা মোড় থেকে এয়ার ভিউ মোড় পর্যন্ত মিছিল করার কথা রয়েছে তাঁর। করবেন সভাও। তারপর শিলিগুড়ির এয়ার ভিউ মোড় থেকে গাড়িতে ৪৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুরে পৌঁছবেন এই কংগ্রেস নেতা। সোনাপুরেই রাত্রিবাস করবেন রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধীর কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থকদরে মধ্যে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা জলপাইগুড়িতে এসেছেন রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে।

রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে অবশ্য তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কে টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা আসলে বিজেপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া।

রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে, তা এখন দেখার।