‘অনেক কাউন্সিলরের দোতলা-তিনতলা বাড়ি’, নিশ্চয় দু’নম্বরি করেছে!’ ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’দের কড়া বার্তা জাকির হোসেনের

জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন দলের একাংশের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
জাকির হোসেনের অভিযোগ, জঙ্গিপুরে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। এই কোন্দলের কারণে দলের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি দলের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও করেছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি জঙ্গিপুরে তৃণমূলের বর্ধিত সভায় জাকির হোসেন এই হুঁশিয়ারি দেন। সভায় তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান, জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামসহ বহু নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জাকির হোসেন বলেন, “আমি দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব পছন্দ করি না। সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি গ্রুপবাজি পছন্দ করি না। আমার বিধানসভাতে কেউ যদি গ্রুপবাজি করে, তাকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। সেই তালিকায় আমি থাকলে আমিও দলের বাইরে চলে যাব।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক কাউন্সিলর আছে, যারা দোতলা, তিনতলা বাড়ি করেছে। তার মানে নিশ্চয় দু’নম্বরি করেছে। দু’নম্বরি করে কেউ আমার কাছে পাড় পাবে না। আমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেব, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করব। কেউ দুর্নীতি করলে মানব না। সে বিধায়ক হোক বা কাউন্সিলার বা দলের কোন শীর্ষ নেতা। আমি ব্যবস্থা না নিলে মুখ্যমন্ত্রীর অপমান হবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর অপমান আমি হতে দিতে পারি না।”
জাকির হোসেন বলেন, “যারা গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব পাকাতে চাইছে, দলের অন্দরে বিরোধিতা করছে, কলকাতায় গিয়ে পড়ে থাকছে, তাদের আমি দেখে নেব। ওদের সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। আমি সরে গেলে ওদের পাশে দশজনও থাকবে না। ওদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”
জাকির হোসেনের এই হুঁশিয়ারি জঙ্গিপুরের রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলেছে। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, জাকিরের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা ফায়দা তোলার চেষ্টা করবেন।
তবে জাকির হোসেনের দাবি, তিনি দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চান। তিনি বলেন, “দলের মধ্যে কেউ যদি দলের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”