VIRUS: আবার চিনা ভাইরাসে বাড়ছে ভয়, ‘পাগলামি’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

চিনের গবেষণাগারে একটি নতুন মারণ-ভাইরাসের সন্ধান হয়েছে। বেজিং ইউনিভার্সিটি অফ কেমিক্যাল টেকনোলজির ল্যাবে তৈরি ষোলো আনা মারণক্ষম এই করোনা-সদৃশ ভাইরাসটি সম্প্রতি ‘বায়ো-আরএক্স আইভি’ প্রি-প্রিন্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই ভাইরাসের সাথে যুক্ত হয়ে দুনিয়াভরে হাওয়ার্ড জলপ্রপাত হচ্ছে এক ধরনের ভয়ানক একটি রেশ।
এই ভাইরাসটির জেনেটিক পরিবর্তনের জন্য জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহৃত হয়েছে এবং এর ফলে ১০০টি ইঁদুরের মধ্যে ১০০টিরই মৃত্যু হয়েছে আট দিনের মধ্যে। ইঁদুরগুলির সংক্রমণের পর তাদের ওজন কমে গিয়েছিল এবং তাদের চোখ সাদা হয়ে উঠেছিল। মৃত ইঁদুরগুলির ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে যে, জিএস্ক_পি২ভি নামক ভাইরাস ইঁদুরের শ্বাসনালী, ফুসফুস, হাড় এবং মস্তিষ্কে হানা দেওয়ার জেরেই এত কম সময়ে মৃত্যু হয়েছে। এই গবেষণা সম্পর্কে তৈরি হয়েছে একটি সতর্কতা ঝড় এনেছে চিকিৎসক সম্মুখে।
বলা হচ্ছে, এমন একটি ঝুঁকির এক্সপেরিমেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করতে হোক। ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের এপিডেমিয়োলজিস্ট ফ্রান্সয়ে বেলো বলেন, ‘এই সব অব্যবহৃত গবেষণায় কোনও মানে নেই। এটি একটি পাগলামি এবং আগুনের খেলা।’ এই ধরণের কাজের বন্ধ হওয়া উচিৎ।
কেন বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের একটি গবেষণায় এমন ঝুঁকি গুলি নেয়া উচিৎ না, তা বোঝানো হয়েছে তাদের আগের অভিজ্ঞানের মৌলিক বৈচিত্র্য বজায় রাখার কারণে। ২০১৭ সালে এই জিএক্স_পি২ভি নামের ভাইরাসের প্রথম সন্ধান প্রাপ্ত হলো প্যাঙ্গোলিনের শরীরে, তখন সেই ভাইরাস মারাত্মক হয়নি ছিল। পরবর্তীতে ল্যাবে এই ভাইরাসের ক্লোন তৈরি করার পর দেখা গিয়েছে যে, জিন পরিবর্তন এবং মিউটেশন এর পর রূপ পরিবর্তন হয়েছে ভাইরাসটির।
এই ভাইরাসের জিনোম থেকে ৩ইউটিআর প্রোটিন চেন মুছে গিয়েছে, তাতেই নতুন ভাইরাস ‘জিএক্স_পি২ভি (শর্ট_৩ইউটিআর)’ হয়েছে। এই ভাইরাসটির সাথে জড়িত হোকার পর অবশ্যই আট দিনের মধ্যে ১০০% ইঁদুর মৃত্যু হয়েছে। এবং এই পথে ভাইরাসকে বদলে ফেলার খেলা চিনের বিভিন্ন গবেষণাগারে শুরু হয়েছে, তারা এটি নিছক জৈব-যুদ্ধ বা বায়োলজিক্যাল ওয়্যারফেয়ারের অংগ হিসেবে নয়, বরং মানব সভ্যতার জন্য একটি ভয়াবহ ঝুঁকির উৎস হিসেবে তাকে বর্ণনা করছেন চিকিৎসকরা।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অলোকেশকুমার কোলে। তিনি বলেন, ‘একটি চিনা সংস্থা তাদের ল্যাবে কী করলো, তার সঙ্গে প্রকৃতির কোনও সম্পর্ক নেই। প্রকৃতিতে নতুন ওই জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড ভাইরাসের কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে মানুষ কেন, অন্য কোনও প্রাণীরও তাতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ নিয়ে কোনও সতর্কতা জারি করেনি।’