ইতিহাসের আজকের দিনের যত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা (১৬ জানুয়ারী)

আজকের দিনটি সময়ের হিসাবে অতি অল্প সময়। আবার একটি ঘটনার জন্য যথেষ্ট সময়। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনেই ঘটেছে নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। অনেকের আজ জন্মবার্ষিকী আবার কেউ মৃত্যুবরণ করেছিলেন এই দিনেই। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক আজকের দিনের ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়-
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনটি:
ঘটনাবলি:
১৬৬৬- ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রান্স ও হল্যান্ডের যুদ্ধ ঘোষণা।
১৭৬৮- কলকাতায় প্রথম ঘৌড়া দৌড় শুরু হয়।
১৯২২- কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন।
১৯২৯- বিবিসির প্রথম পত্রিকা ‘দি লিসেনার’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯৭২- বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নেপাল।

জন্ম:
১৮৫৫- এক বাঙালি স্বভাব কবি গোবিন্দচন্দ্র দাস।
১৯০১- ভারতীর বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক ও সাহিত্য বিশারদ সুকুমার সেন।
১৯০১- বাঙালি সাহিত্যিক সাংবাদিক সম্পাদক চপলাকান্ত ভট্টাচার্য।
১৯১০- বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস।
১৯১৯- বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোঃ মনসুর আলী।
১৯৪০- বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা চিন্ময় রায়।
১৯৮৭- ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিতর্কিত মার্কিন সাহিত্যিক কাব্য বিশ্বনাথন।

মৃত্যু:
১৯১৫- ঢাকার নবাব খাজা সলিমুল্লাহ।
১৯৩৮- বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৬১- বাঙালি রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরী।
১৯৮৯- বাঙালি সাহিত্যিক সাংবাদিক সম্পাদক চপলাকান্ত ভট্টাচার্য।
২০১৮- বাংলাদেশি সংগীত শিল্পী শাম্মী আখতার।

খাজা সলিমুল্লাহ
ঢাকার চতুর্থ নবাব। ১৮৭১ সালের ৭ জুন ঢাকার আহসান মঞ্জিলে তার জন্ম। তার পিতা নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ও পিতামহ নবাব খাজা আব্দুল গনি। বিশ শতকের গোড়ার দিকে উপমহাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট এক নাম নবাব খাজা স্যার সলিমুল্লাহ। রাজনীতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয়। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতার চৌরঙ্গী রোডের ৫৩ নম্বর বাড়িতে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন সলিমুল্লাহ।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি বিভাগের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এবং বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। ১৯২৩ সালে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ‘ডিলিট’ উপাধি পান ১৯৩৬ সালে। তার জনপ্রিয় উপন্যাসের মধ্যে আছে-বড়দিদি, পরিণীতা, পল্লীসমাজ, দেবদাস, চরিত্রহীন, শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে), দত্তা, গৃহদাহ, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন ইত্যাদি। ১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন তিনি।