খাদ্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে বাংলাদেশে, বিপাকে সাধারণ মানুষ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছেই। গত এক বছরে চাল, গম, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে।
খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রধান কারণ হল আমদানি কমে যাওয়া। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য আমদানি কমেছে ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে চালের আমদানি কমেছে ৪৭ শতাংশ, গমের আমদানি কমেছে ৫১ শতাংশ এবং ভোজ্যতেলের আমদানি কমেছে ৫৭ শতাংশ।
আমদানি কমে যাওয়ার কারণ হল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া। গত এক বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ শতাংশ কমে গেছে। এতে আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণেও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ। এই যুদ্ধের কারণে এসব দেশ থেকে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশের খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এর ফলে অনেক মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় গরিব মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।