CORONA: প্রতি ১০ জনে JN1-এ আক্রান্ত প্রায় ২! করোনার সুপার স্প্রেডার ভারতের এই রাজ্য?

ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN1-এ আক্রান্তের সংখ্যা ৩১-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে, এই ভয়াবহ প্রজাতিতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে, মহারাষ্ট্রে এই প্রজাতির সুপার স্প্রেডার হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে JN1 আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন বেড়েছে। এর মধ্যে থানেতে পাঁচজন, পুনেতে দু’জন, অকোলা, সিন্ধুদুর্গ এবং পুনের গ্রামীণ এলাকায় একজন করে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।

এই তালিকায় এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি সম্প্রতি আমেরিকা থেকে ফেরেন। তারপরই তাঁর শরীরে JN1-এর উপসর্গ পাওয়া যায়। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে এই প্রজাতির উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সঞ্জয় বনসোড ইতিমধ্যেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিকে অ্যালার্ট করেছেন। ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার, পর্যাপ্ত ওষধু মজুত রাখতে বলা হয়েছে সরকারি হাসপাতাগুলিকে।

কোভিড আপডেট

সোমবার সকালের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৬২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে কেরালাতে। কেবলমাত্র দক্ষিণের এই রাজ্যেই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। দেশে যে একমাত্র করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে তিনি কেরালার বাসিন্দা ছিলেন।

কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৭১। যার মধ্যে ২৫৮ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকি ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।

JN1 প্রজাতির বৈশিষ্ট্য

JN1 প্রজাতির করোনা ভাইরাসের মধ্যে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেছে। এই প্রজাতির ভাইরাসটি আগের প্রজাতির তুলনায় বেশি সংক্রামক। এটি শরীরের ভেতর গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে। ফলে, রোগীর শরীরে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।

এই প্রজাতির ভাইরাসটির বিরুদ্ধে বর্তমান টিকাগুলির কার্যকারিতা এখনও পরীক্ষাধীন। তবে, বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই প্রজাতির ভাইরাসটি টিকার কার্যকারিতাকে কমিয়ে দিতে পারে।

জনসাধারণের সতর্কতা

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জনসাধারণকে JN1 প্রজাতির করোনার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে, যারা সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন বা যারা করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত।

জনসাধারণকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।