ADHAAR-এর ভেরিফিকেশন হবে পাসপোর্টের মতোই! হাতে পেতে সময় লাগতে পারে 180 দিন

আধার কার্ড বর্তমানে ভারতের নাগরিকদের জন্য একটি অপরিহার্য পরিচয়পত্র। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সেবা, সব ক্ষেত্রেই আধার কার্ডের প্রয়োজন হয়। এই কারণে, আধার কার্ডের নিরাপত্তা এবং নির্ভুলতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই লক্ষ্যে, কেন্দ্র সরকার আধার কার্ডের জন্য নতুন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। এই নতুন ব্যবস্থার অধীনে, নতুন আধার কার্ডের জন্য আবেদনকারীদের ভেরিফিকেশন রাজ্য সরকারের মাধ্যমে করা হবে। এই ভেরিফিকেশন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের মতোই কঠোর হবে।

নতুন নির্দেশ অনুসারে, এই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র 18 বছর পার করা ব্যক্তিদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। একবার আধার কার্ড তৈরি হওয়ার পর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী সব ধরনের আপডেটও করতে পারবে। একইসঙ্গে যাদের আধার কার্ড রয়েছে, তাঁদের জন্য নতুন নিয়মের কোনও বালাই নেই।

রাজ্য সরকারের অনুমতি বাধ্যতামূলক

নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, সরকার আধার আবেদনের যাচাইয়ের জন্য জেলা স্তরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মহকুমা স্তরে এসডিএমকে মনোনীত করতে পারে। এই আধিকারিকদের দ্বারা অনুমোদনের পরেই নতুন আধার কার্ড ইস্যু করা হবে। নতুন আধার কার্ড ইস্যু করার জন্য শারীরিক ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে, এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে জেলার মূল পোস্ট অফিস বা অন্য আধার কেন্দ্রে হাজির থাকতে হবে।

আধার তৈরি করতে 180 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে

নতুন নিয়মের আওতায় একটি নতুন আধার ইস্যু করতে 180 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কারণ আধারের আবেদন করার পর UIDAI ডেটার গুণমান পরীক্ষা করবে এবং তারপরে পরিষেবা প্লাস পোর্টালে আবেদন পাঠাবে। এসডিএম পোর্টালে সেই আবেদনের যাচাই করা হবে। আবেদনকারীর জমা দেওয়া সমস্ত নথির যাচাই করা হবে। এর পরে, এসডিএম স্তর থেকে আধার ইস্যু করার অনুমতি দেওয়া হবে। যদি কাগজপত্রে কোনও ভুল পাওয়া যায় তবে আবেদনটি বাতিল করা হবে।

আবেদনকারীর উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক

নির্দেশ অনুসারে, আবেদনকারীর শারীরিক যাচাইয়ের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। এর জন্য, অন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বসবাসকারী আবেদনকারীদেরও যাচাইয়ের জন্য তাদের নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

নতুন ব্যবস্থার সুবিধা ও অসুবিধা

নতুন ব্যবস্থার কিছু সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এই ব্যবস্থায় আধার কার্ডের নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি পাবে। দ্বিতীয়ত, আধার কার্ডের জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। তৃতীয়ত, আধার কার্ডের ব্যবহারে আরও স্বচ্ছতা আসবে।

তবে, নতুন ব্যবস্থার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। প্রথমত, এই ব্যবস্থায় আধার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া আরও জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হবে। দ্বিতীয়ত, এই ব্যবস্থায় আবেদনকারীদের অনেক দূরে যেতে হবে। তৃতীয়ত, এই ব্যবস্থায় আবেদনকারীদের অনেক কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

সামগ্রিকভাবে, নতুন ব্যবস্থা আধার কার্ডের নিরাপত্তা এবং নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, এই ব্যবস্থার সুবিধা ও অসুবিধাগুলি বিবেচনা করে এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।