‘বড়দিনে হোক হনুমানজির পুজো!’-ক্রিসমাস পালনের ‘নিয়ম’ জানালেন বাগেশ্বর বাবা

ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থায় হিন্দুরাও ধুমধাম করে পালন করেন ক্রিসমাস উৎসব। কেক খেয়ে, বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, চার্চের প্রার্থনায় অংশ নেন তাঁরা। তবে বড়দিন পালনের ক্ষেত্রে এবার বিশেষ নিদান দিলেন মধ্য প্রদেশের ছত্তরপুর জেলার বাগেশ্বর ধাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী।
শাস্ত্রী বলেন, হিন্দুরা বড়দিনের উৎসব পালন করতেই চাইলে তা সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী করুন। তিনি চান হিন্দুরা এদিন তুলসি পুজো করুন।
পাশ্চাত্যের প্রভাব সম্পর্কে উষ্মা প্রকাশ করে শাস্ত্রী বলেন, “শিশুদের সান্তা ক্লজ কিনে দেওয়ার বদলে হনুমান মন্দিরে নিয়ে যান। ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে শিশুদের যুক্ত রাখার এটাই সঠিক নিয়ম।”
শাস্ত্রী বুঝিয়ে দেন কেন এদিন মাতৃপুজন দিবস হিসেবে পালন করা উচিত। তিনি বলেন, “ক্রিসমাস নয়, হিন্দুদের ভারতীয় সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে ২৫ ডিসেম্বর মায়েদের পুজো করা উচিত।”
শাস্ত্রী বলেন, “সমৃদ্ধ ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ক্রিসমাস উৎসবের কোনও তুলনাই চলে না।” তিনি শিশুদের মধ্যে সান্তা ক্লজকে নিয়ে উন্মাদনা এবং আবেগ দেখে তিতিবিরক্ত।
শাস্ত্রী সম্পর্কে জানা যায়, মাত্র ২৬ বছরেই তিনি বাগেশ্বর ধাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হয়েছেন। তাঁর ঠাকুরদা দাদা গুরুজি মহারাজ ছিলেন এই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। শাস্ত্রী নিজেও ম্যাজিক করতে পারেন। তিনি বলেন, “পাশ্চাত্যকে গ্রহণ না করে হিন্দুদের উচিত সনাতন ধর্মের নিয়মকানুন মেনে চলা।”
শাস্ত্রীর এই মতামত নিয়ে হিন্দু সমাজে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেউ কেউ তাঁর মতামতকে সমর্থন করছেন, কেউ কেউ আবার বিরোধিতা করছেন।