Bethlehem : জনশূন্য চার্চ, নেই কেক-ক্রিসমাস ট্রি! যিশুর জন্মস্থানে বিষাদের সুর

ক্রিসমাস মানেই আনন্দ, উচ্ছ্বাস, ঈশ্বরের আশীর্বাদ। গোটা বিশ্ব যখন বড়দিনের উৎসবে মাতোয়ারা, তখন যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান বেথলেহেম শহর যুদ্ধের ছায়ায় নিমজ্জিত। গত কয়েক মাস ধরে ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে বেথলেহেমে পর্যটকদের আগমন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শহরটিতে ক্রিসমাস উৎসবের কোনও আমেজ নেই।
জনশূন্য হোটেল, রেস্তোরাঁ
বেথলেহেমের জনপ্রিয় আলেকজান্ডার হোটেলের মালিক জোয়ি ক্যানাভাটি বলেন, “আমাদের হোটেলে কোনও অতিথি আসেননি। একজনও নয়।” চার দশক ধরে এই শহরে হোটেল ব্যবসা চালাচ্ছেন জোয়ি। তিনি বলেন, “এটা আমাদের জীবনের সবচেয়ে জঘন্য ক্রিসমাস। বড়দিনে বেথলেহেম বন্ধ। কোনও ক্রিসমাস ট্রি নেই। কোনও আনন্দ নেই। উৎসবের কোনও আমেজই নেই।”
জেরুজালেমের দক্ষিণ প্রান্তের এই বেথলেহেম শহর প্রতি বছরই ক্রিসমাসের সময় পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় স্পটে পরিণত হয়। প্রত্যেক বড়দিনে এখানকার পর্যটন ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে ওঠে। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে বেড়াতে যান পর্যটকরা। যেখানে যিশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে খ্রিস্টানরা মনে করেন, সেই স্থানের দাঁড়িয়ে ক্রিসমাস পালন করতে ছুটে আসেন সকলে।
স্থানীয়দের আশা
বেথলেহেমের ম্যানেজার স্কোয়্যারে প্রতি বছর হইহই করে বড়দিন পালিত হয়। কিন্তু, এবারের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। জনশূন্য এই ট্যুরিস্ট স্পট। ভার্জিন মেরি এবং যিশু খ্রিস্টের মূর্তি বিক্রেতা রবি তাবাশ বলেন, “দু’মাস হয়ে গেল এখানে কোনও পর্যটক আসেনি। আশাহত হতে পারব না। তাই এখনও দোকান খোলা রাখছি। আমি বিশ্বাস করতে চাই আবার সব আগের মতো হয়ে যাবে।”
স্থানীয় ফলাফল রেস্তরাঁর মালিক আলা সালেমে বলেন, “বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের এই রেস্তরাঁ। তবে এখন স্থানীয় প্যালেস্তাইন পরিবারের জন্য খাবার সরবরাহ করি আমরা। দোকান খোলা রাখতেই হচ্ছে কারণ আমার কর্মীদের পয়সার প্রয়োজন। শান্তির আশায় বড়দিনে প্রার্থনা করছি আমরা। এই বেথলেহেম শহরে শান্তি বিরাজমান। এই শহর থেকেই গোটা দেশে আমরা শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই।”
যুদ্ধের ছায়ায় ক্রিসমাস পালন করতে হচ্ছে বেথলেহেমের মানুষকে। কিন্তু, তারা আশা ছাড়েননি। শান্তির জন্য প্রার্থনা করছেন তারা। বিশ্ববাসীকেও শান্তির জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।