বিশেষ: সিনেমা হল বা শপিংমল, বাথরুমের দরজার নিচে যে কারণে কাটা থাকে

শৌচালয় মানেই তাও ব্যক্তিগত পরিসর। আর তার সঙ্গে সর্বদাই ‘বন্ধ’, ‘ঢাকা’, ‘আড়াল’ শব্দগুলোর যোগ। তবে শপিংমল হোক বা কিছু অফিস, অথবা সিনেমা হল, এসব ক্ষেত্রে শৌচালয়গুলোতে আড়ালয়া খানিক কম। পায়ের নিচ থেকে খানিক অংশ, মাথার খানিক অংশ যেন কেটে বাদ দেওয়া।
কেন এমন ভাবে বানানো হয়? ভেবে দেখেছেন কখনো? তার কারণ এক নয়, একাধিক। জানলে অবাক হতে হয়। আসলে বেশ কিছু সুবিধার কারণে এই ভাবে বানানো হয় শৌচালয়গুলো। সিনেমা হল, অফিস, শপিংমলের শৌচালয় মানে তো জনগণের যাতায়াত থাকে সব সময়ে। সেক্ষেত্রে সহজে পরিষ্কার করা যায় শৌচালয়গুলো। মেঝে পর্যন্ত দরজা থাকলে জল বের করা যায় না প্রায়শই। তা ছাড়া দরজা কাটা থাকলে বারবার জল লেগে দরজার কাঠ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বাথরুমের ভেতরে বিপদ হলে, কাউকে বের করতে হলে এমন দরজা উপকারি। বাথরুমে থাকাকালীন কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, ছোট দরজা দিয়ে সহজে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করা যায়। এছাড়া ছোট ছোট খুপড়ির মতো জায়গায় যাতে বায়ু চলাচল হতে পারে, তার জন্যেও এই ধরনের শৌচালয় বানানো হয়। দরজা নিচ থেকে কাটা থাকলে বাইরে থেকে ভেতরে থাকা ব্যক্তির পা দেখা যায়, তাতে আর আলাদা করে দরজার কড়া নাড়তে হয় না। এতে ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপের অবকাশ তৈরি হয় না।

সম্পূর্ণ ঢাকা শৌচালয়ের ভেতরে বসে কেউ ধূমপান করলে তা সবসময়ে বোঝা যায় না। দরজা কাটা থাকলে, নিচ থেকে বা বাইরে থেকে সিগারেটের ধোঁয়া বেরিয়ে পড়ে। আর তাতে পাবলিক শৌচালয়ে ধূমপান রোধ করা সম্ভব। তাছাড়া ছোট ছোট দরজা থাকলে শৌচালয়ের ভেতর থেকে বাইরে কথোপকথন চালানো সম্ভব। কারও প্রয়োজন পড়লে সে বাইকে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আওয়াজ বাইরে যাওয়ায় বাধাপ্রাপ্ত হয় না।