
করোনাভাইরাস নিয়ে ভারতে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৩৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৭৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তবে, সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হলো মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি; গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে, ১৪৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
সংক্রমণের চিত্র: কোন রাজ্যে কত আক্রান্ত ও সক্রিয় রোগী?
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা হলো:
কেরল: ১৮৯ জন
কর্নাটক: ৮৬ জন
পশ্চিমবঙ্গ: ৮৯ জন
দিল্লি: ৮১ জন
উত্তরপ্রদেশ: ৭৫ জন
তামিলনাড়ু: ৩৭ জন
মহারাষ্ট্র: ৪৩ জন
গুজরাট: ৪২ জন
রাজস্থান: ৯ জন
পুদুচেরি: ৬ জন
মধ্যপ্রদেশ: ৬ জন
হরিয়ানা: ৬ জন
ঝাড়খণ্ড: ৬ জন
ওড়িশা: ২ জন
জম্মু ও কাশ্মীর: ২ জন
ছত্তিশগড়: ৩ জন
অন্ধ্রপ্রদেশ: ১ জন
পাঞ্জাব: ১ জন
গোয়া: ১ জন
বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী শীর্ষস্থানীয় রাজ্যগুলি হলো:
কেরল: ১৩৩৬ জন
মহারাষ্ট্র: ৪৬৭ জন
দিল্লি: ৩৭৫ জন
কর্নাটক: ২৩৪ জন
পশ্চিমবঙ্গ: ২০৫ জন
তামিলনাড়ু: ১৮৫ জন
উত্তরপ্রদেশ: ১১৭ জন
গুজরাট: ২৬৫ জন
পুদুচেরি: ৪১ জন
রাজস্থান: ৬০ জন
হরিয়ানা: ২৬ জন
মধ্যপ্রদেশ: ১৬ জন
ঝাড়খণ্ড: ৬ জন
পাঞ্জাব: ৫ জন
উপসর্গ ও সতর্কতা: আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, JN.1 সাব-ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে:
গলা ব্যথা
ঘুমের সমস্যা
সর্দি
কাশি
মাথাব্যথা
দুর্বলতা বা ক্লান্তি
পেশীতে ব্যথা
চিকিৎসকদের মতে, “কাশি, গলা ব্যথা, হাঁচি, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা হল সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এমন কিছু লক্ষণ। তবে, এগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণও হতে পারে, তাই আগে পরীক্ষা করে নিন।”
প্রশাসন সকলকে মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সাথে জানানো হয়েছে, কোভিড নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং কোনো রকম উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।