
বলিউড অভিনেতা আমির খান, যিনি একসময় জেনেলিয়া ডি’সুজাকে তার ভাগ্নে ইমরান খানের বিপরীতে ‘জানে তু… ইয়া জানে না’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, এবার নিজেই তার সঙ্গে ‘সিতারে জমিন পার’-এ স্ক্রিন শেয়ার করছেন। তবে এই সিনেমার মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও পর্দায় রোম্যান্স। সম্প্রতি ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির খান খোলাখুলি কথা বলেছেন এই বিষয়ে।
জেনেলিয়ার সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্স, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য এবং তাদের বয়সের বড় পার্থক্য নিয়ে আমির খান কখনও চিন্তিত ছিলেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে একরাশ হাসি নিয়ে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি জানি। কিন্তু সেটা অনেক আগের কথা। আর এখন ইমরান অনেকটা আমার মতোই হয়ে গেছে।” মজার ছলে ইমরানকে টেনে এনে আমির বোঝাতে চেয়েছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কগুলো কিভাবে বিবর্তিত হয়।
তিনি আরও বলেন, “এই চিন্তাটা আমার মনেও এসেছিল, কিন্তু ছবিতে আমরা দুজনেই চল্লিশ বা তার আশেপাশের বয়সের চরিত্র হিসেবে ধরা দিয়েছি। আর ও এখন প্রায় ওই বয়সের।” অর্থাৎ, চরিত্রের প্রয়োজনে বয়সের ব্যবধানকে তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি।
আমির খান বর্তমানে ৬০ বছর বয়সী হলেও, তিনি আধুনিক প্রযুক্তির সক্ষমতায় বিশ্বাসী। তিনি বলেন, “আমার বয়স ৬০, কিন্তু আজকের যুগে ভিএফএক্সের সুবিধা আছে। আগে, যদি আমি ১৮ বছর বয়সীর চরিত্রে অভিনয় করতাম, তাহলে আমাকে প্রস্থেটিক্সের ওপর নির্ভর করতে হতো।” উদাহরণ হিসেবে তিনি অনিল কাপুরের ‘ঈশ্বর’ ছবির কথা উল্লেখ করেন, যেখানে অনিল কাপুর অল্প বয়সে ৮০ বছর বয়সী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
আমির জোর দিয়ে বলেন, “ওর বয়স অনেকটা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল, যা একজন অভিনেতার জন্য খুবই রোমাঞ্চকর। আজ, ভিএফএক্সের মাধ্যমে তাকে ৮০ বছর বয়সী দেখানো যায় এবং এর বিপরীতও দেখানো যায়। তাই, বয়স আর অভিনেতাদের জন্য বাধা নয়।”
মিস্টার পারফেকশনিস্টের এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, ভিএফএক্সের মতো উন্নত প্রযুক্তি অভিনেতাদের চরিত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। জেনেলিয়ার সঙ্গে আমিরের রসায়ন এবং ভিএফএক্সের ব্যবহার ‘সিতারে জমিন পার’ কতটা সাড়া ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।