
গত মাসে পুলওয়ামায় ২৬ জন পর্যটককে জঙ্গিরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। সেই ঘটনার এক মাসের মাথায়, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে দাঁড়িয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ভূয়সী প্রশংসা করলেন এবং একই সঙ্গে পাকিস্তানকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন। তাঁর এই মন্তব্য পুলওয়ামা হামলার প্রতিশোধ এবং ভারতের সন্ত্রাস-বিরোধী নীতির এক স্পষ্ট বার্তা।
পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় ভারত যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছিল, সেই কথা মনে করিয়ে মোদী বলেন, “২২ এপ্রিলের হামলার জবাবে আমরা ৯টি বড় জঙ্গিঘাঁটি ২২ মিনিটে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। বিশ্ব এবং দেশের শত্রুরা দেখে নিয়েছে সিঁদুর বারুদে পরিণত হলে কী হয়।”
‘অপারেশন সিঁদুর’কে প্রতিশোধ বলতে নারাজ মোদী। তাঁর মতে, এটি ‘ন্যায়ের নতুন মুখ’। এদিন মোদী আরও বলেন, “রক্ত নয়, আমার ধমনীতে গরম সিঁদুর বইছে।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ভারতের দৃঢ় সংকল্পের কথা তুলে ধরেন।
২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার জবাবে ৭ মে মাঝরাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করেছিল। ভারত সরকার জানিয়েছে, ওই অভিযানে পাকিস্তানে থাকা একাধিক জঙ্গি সংগঠনের অন্তত ১০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযান ভারতের সামরিক সক্ষমতা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে আবারও প্রমাণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারতের উপর জঙ্গি হামলা হলে, তা যুদ্ধ হিসেবেই দেখবে ভারত। সেই কথা মনে করিয়ে তিনি বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সঙ্গবদ্ধ রয়েছে ভারত। গুলির আওয়াজ (পুলওয়ামা হামলার ইঙ্গিত) ১৪০ কোটি মানুষের বুকে বিঁধেছে। আমরা সন্ত্রাসবাদের বুকেই আঘাত করেছি। সরকার সেনাকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছিল। আর সেনা পাকিস্তানকে হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেছে।”
মোদী সরকারের এই কঠোর অবস্থান এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের এই অনড় নীতিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?