
সময় যেন এক দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তি। ৩৭ বছর আগে এক বিমান দুর্ঘটনায় হারিয়েছিলেন পরিবারের এক সদস্যকে। আর এবার, সেই পুরনো ক্ষত না শুকাতেই আরও একবার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেলেন সৌরিন পালকিওয়ালা—এয়ার ইন্ডিয়ার মেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল তাঁর কন্যা সঞ্জনা।
কান্নাভেজা কণ্ঠে সৌরিন বলেন,”খবরটা পাওয়ার পর যেন এক মুহূর্তে সব কিছু থমকে গেল। মনে হচ্ছিল déjà vu—কারণ আমি জানতাম, এবারও আমি কিছু হারিয়েছি। ৩৭ বছর আগে যেমনটা ঘটেছিল।”
সেই সময় এক বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর দিদির হবু শ্বশুর প্রাণ হারান। সেই দুঃসহ স্মৃতি ফের ফিরে এল আরও গভীর আঘাত নিয়ে—এইবার নিজের মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণায়।
সঞ্জনা পালকিওয়ালা ছিলেন প্রতিভাবান, উচ্চশিক্ষিত এক তরুণী। পুণে থেকে বিবিএ সম্পূর্ণ করার পর নিউইয়র্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ম্যানেজমেন্ট অফ টেকনোলজি”-তে মাস্টার্স করেন। সম্প্রতি কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে রিইউনিয়নে যোগ দিতে ব্রিটেনে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সফর আর শেষ হলো না।
একই পরিবারের জীবনে দুই প্রজন্মে ঘটে যাওয়া দুই বিমান দুর্ঘটনা যেন নিয়তির নির্মম পরিহাস। সৌরিন পালকিওয়ালার জীবনে এই ঘটনাগুলি শুধুই দু’টি দুর্ঘটনা নয়, বরং এক গভীর শোকের ছায়া—যা কখনও মোছে না।