“১৫০-১৬০র গতিতে বোলিং করে দেখাবো”-দল না পেয়ে PSL বয়কটের ডাক পাক খেলোয়াড়ের

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) অষ্টম সংস্করণে নিজের গতিময় বোলিং দিয়ে নজর কেড়েছিলেন তরুণ পেসার ইশানউল্লাহ। অনেকেই মনে করেছিলেন, এই তরুণ বোলার ভবিষ্যতে পাকিস্তান জাতীয় দলের বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠবেন। কিন্তু পিএসএলের দশম সংস্করণের নিলামে কোনো দল তাকে কিনতে আগ্রহ না দেখানোয় ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসরের মতো বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমকে ইশানউল্লাহ জানান, তিনি পিএসএল বয়কট করবেন। আবেগপূর্ণ হলেও তিনি অনেক ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আর খেলতে চাই না। এই মুহূর্তে এই ধরণের ক্রিকেটে আমার ক্যারিয়ারের শেষ। আমি পুরোপুরিভাবে পাকিস্তান সুপার লিগ বয়কট করছি এবং অবসর নিচ্ছি। আমি আর পিএসএলে কখনও খেলব না। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে নিজেকে প্রমাণ করেই পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাইব।”

এর আগে ইশানউল্লাহ মুলতান সুলতানসের হয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু এবারের নিলামে সেই দলও তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। সকলেই জানেন এই পৃথিবীটা স্বার্থপর। যখন কেউ অন্য কাউকে খুঁজে পায়, তখন তার কাছে চলে যায়। একটা সময় আলি তারিন (মুলতান সুলতানের কর্ণধার) আমার প্রতিভা এবং পারফরমেন্সে খুশি হতেন। ভালো পারফরমেন্স করতে পারলে দলগুলো আমার পিছনে ছুটবে, সেটাই আমার টার্গেট। যারা আমায় ১৩০-১৩৫ এর বোলার বলত, তাদের আমি দেখিয়ে দেব। আমি ১৫০-১৬০ এর গতিবেগে বোলিং করব আগামী এক-দেড় মাসে। দেখিয়ে দেব, অষ্টম সংস্করণে খেলা ইশানউল্লাহ এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে।”

২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে কনুইয়ে চোট পান ইশানউল্লাহ। মুলতান সুলতানসের কর্ণধার আলি তারিনের দাবি, চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন অস্ত্রোপচারের পর ইশানউল্লাহ আর আগের মতো দ্রুত গতিতে বোলিং করতে পারবেন না। অতীতে ১৫৫ কিমি গতিবেগে বোলিং করা এই বোলার ১৩৫ কিমি গতিতে নেমে আসবেন বলে তারা মনে করছেন। এই কারণেই মুলতান সুলতানস তাকে দলে রাখেনি।

উল্লেখ্য, পিএসএলের অষ্টম সংস্করণে ইশানউল্লাহ ২২টি উইকেট নিয়েছিলেন এবং তার ইকোনমি রেট ছিল ৭.৫৯। এরপর তিনি পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পান এবং ২০২৩ এর মার্চে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তার অভিষেক হয়। সেই বছরই তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও অভিষেক করেন। কিন্তু কনুইয়ের চোটের কারণে তিনি বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স টি-টোয়েন্টি কাপে ফিরে এসে চারটি ম্যাচে দুটি উইকেট নিয়েছেন।

ইশানউল্লাহর এই আকস্মিক অবসরের সিদ্ধান্ত ক্রিকেটমহলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy