
মহেশতলার একটি বিস্কুট কারখানায় মোবাইল চুরির অভিযোগে বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়ে নিখোঁজ হওয়া নাবালকের সন্ধান ১২ দিন পার হলেও এখনও মেলেনি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কারখানার মালিক শাহেনশাহকে মুম্বই থেকে কলকাতায় এনেছে পুলিশ। শাহেনশাহ ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩১ মে সকাল ৭টায় নাবালকটি কারখানা থেকে পালিয়েছিল বলে ধৃতরা দাবি করেছে। ধৃতদের কথামতো, নাবালকটি যে রাস্তা দিয়ে বেরিয়েছিল, সেই রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, সেই ফুটেজে নাবালকটির কোনো অস্তিত্ব মেলেনি, যা রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ঘটনাটি সামনে আসার পরই কারখানার মালিক শাহেনশাহ মুম্বইয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে। শাহেনশাহ দাবি করেছে, নিখোঁজ নাবালকটি মোবাইল চুরি করেছিল।
তবে, পুলিশের তদন্তে ধৃতদের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, মোবাইল চুরির অভিযোগে ওই নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর করা হয়েছিল এবং তাকে ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়েছিল। এই অমানবিক নির্যাতনের পরই নাবালকটি নিখোঁজ হয়।
১২ দিন পেরিয়ে গেলেও নাবালকের খোঁজ না মেলায় তার পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার আরও গভীরে গিয়ে নিখোঁজ নাবালকের সন্ধান এবং নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে।