
হোলি ভারতের অন্যতম প্রাণবন্ত উৎসব। এই দিনে রঙের খেলায় থাকে এক অনন্য আনন্দ। একে অপরকে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য প্রকাশের জন্য রঙের প্রয়োগ করা হয় এবং সবাই একে অপরকে শুভ হোলি জানায়। কথিত আছে, হোলিতে অপরিচিতরাও বন্ধু হয়ে যায়।
হোলির দিনে সাধারণত জল ও গুলাল ব্যবহার করা হয়। তবে বাজার থেকে কেনা রঙে রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক রঙ তৈরি করা নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।
হলুদ রঙ তৈরির উপায়: হলুদ ও বেসন মিশিয়ে তৈরি করা যায় সুন্দর হলুদ রঙ। এটি ত্বকের জন্যও উপকারী এবং স্ক্রাবের মতো কাজ করে।
লাল রঙ তৈরির উপায়: কর্নস্টার্চের সঙ্গে লাল চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করা যায় লাল গুলাল। এছাড়া লাল জবা ফুল পিষেও লাল আবির তৈরি করা যায়।
গোলাপি রঙ তৈরির উপায়: বিটরুট শুকিয়ে গুঁড়ো করে ময়দা বা কর্নস্টার্চের সঙ্গে মিশিয়ে গোলাপি রঙ তৈরি করা যায়। এছাড়া বিটরুট সিদ্ধ করে তার জল ব্যবহার করেও পিচকারি ভর্তি করা যায়।
সবুজ রঙ তৈরির উপায়: পালং শাক পিষে কর্নস্টার্চের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা যায় সবুজ রঙ। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও ত্বকের জন্য নিরাপদ।
নীল রঙ তৈরির উপায়: বাজার থেকে ইন্ডিগোর গুঁড়ো কিনে কর্নস্টার্চের সঙ্গে মিশিয়ে নীল রঙ তৈরি করা যায়। তরল নীল জল তৈরি করে পিচকারিতে ভরেও খেলা যায়।
প্রাকৃতিক রঙের মাধ্যমে হোলি খেলে যেমন পরিবেশ রক্ষা করা যায়, তেমনি ত্বকও থাকে সুরক্ষিত।