আসন্ন রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে হিন্দু ঐক্যের ডাক দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাম নবমীর মতো রথযাত্রাতেও হিন্দুদের বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বুধবার আইসিসিআর-এ বিভিন্ন রথযাত্রা কমিটির সঙ্গে এক বৈঠকে শুভেন্দু এই বার্তা দেন, যেখানে বহু সাধু-সন্তও উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকেই ২০-২২টি রথযাত্রা কমিটিকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী রাম নবমীর বিশাল সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, রাজ্যে ১৭৫০টি রাম নবমীর শোভাযাত্রা হয়েছিল এবং প্রায় দেড় কোটি মানুষ তাতে সামিল হয়েছিলেন। এবার রথযাত্রাতেও একই রকম ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে হবে বলে তিনি জোর দেন। সেই লক্ষ্যেই পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
রথযাত্রার প্রস্তুতি ও শুভেন্দুর কর্মসূচি:
শুভেন্দু অধিকারী রথ যেসব রাস্তা দিয়ে যাবে, তার আশেপাশের এলাকা গেরুয়া ধ্বজ (পতাকা) দিয়ে সাজিয়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। রাম নবমীর মতোই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক নিজেই ধ্বজ মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শতাধিক রথযাত্রা কমিটির সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
এখনও পর্যন্ত যা স্থির হয়েছে, তাতে রথের দিন বিরোধী দলনেতা কলকাতায় দুটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এরপর তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক এবং মেচেদায় রথযাত্রায় যোগ দেবেন।
হিন্দুত্বের পোস্টার বয়ের বার্তা:
বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতির ‘হিন্দুত্বের পোস্টার বয়’ হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রথে রাস্তা সাজিয়ে তুলুন, ভরিয়ে দিন। রামনবমীর মতোই রথেও শক্তি দেখান হিন্দুরা।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, রাম নবমীকে ‘ঐতিহাসিক’ করে তোলার কথা শুভেন্দু অধিকারী কেবল একজন রাজনীতিক হিসাবে নয়, বরং একজন সনাতনী হিসাবে বলেছিলেন। এবার রথযাত্রার মধ্য দিয়েও সেই একই ‘শক্তি প্রদর্শনের’ কথা বলছেন তিনি। আসন্ন রথযাত্রা কি সত্যিই বাংলায় হিন্দুত্বের এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
