“হামাস নেতাকে হত্যার পর আমরা চুপ থাকতে পারি না”

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, বৈরুতে মিত্র ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের উপ-প্রধানের হত্যা জঘন্য অপরাধ, যার পরে আমরা চুপ থাকতে পারি না। বুধবার (৩ জানুয়ারি) একটি টেলিভিশন বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

নিজের বক্তব্যে হাসান নাসরুল্লাহ এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করার পাশাপাশি সালেহ আল-আরৌরির হত্যাকাণ্ডকে ইসরায়েলের প্রকাশ্য আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন। এ ঘটনায় তিনি হামাসের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে হামাসের কার্যালয় লক্ষ্য করে এই ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার লক্ষ্যবিন্দুতে ছিলেন আরউরি। পরে হামাসের সংবাদমাধ্যম আনুষ্ঠানিকভাবে আরউরিসহ সাতজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। এ হামলার মধ্য দিয়ে চলমান সংঘাত আরও উসকে দিয়েছে।

ইরানের পক্ষ থেকেও হামলার নিন্দা জানানো হয়। অন্যদিকে, লেবানন ঘোষণা দিয়েছে যে এ হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে। তবে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

সালেহ আল-আরউরি হামাসের সামরিক শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং দখলকৃত গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৬৬ সালে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় জন্ম নেওয়া আরউরির দীর্ঘ ১৫ বছর কেটেছে ইসরায়েলের কারাগারে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লেবাননে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিলেন। তবে চলমান সংঘাতে হামাসের রণনীতির একজন মুখপাত্র হিসেবে সামনে আসেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজায় ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং অর্ধলক্ষের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

বিজ্ঞাপন

সূত্র: আল জাজিরা

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy