কলকাতা হাইকোর্টে আরজি কর হাসপাতালে সাসপেন্ডেড ডাক্তারদের মামলায় নতুন মোড়। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলাটি দ্রুত শোনার আর্জি জানানো হবে। এই মামলায় আরজি করের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কেও মামলায় পার্টি করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনা:
সোমবার নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি করের অধ্যক্ষকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন। ৪৭ জন ডাক্তারকে সাসপেন্ড করার বিষয়ে অধ্যক্ষকে জানানো হয়নি কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আপনার প্রথমে রেকমেন্ডেশন পাঠানো উচিত ছিল স্বাস্থ্য দফতরকে। স্বাস্থ্য দফতর আমাদের সঙ্গে আলোচনা করত। তা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা কি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?”
থ্রেট কালচার:
তিলোত্তমা কাণ্ডের পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ একাধিক জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ ওঠে। তদন্তে কমিটি গঠিত হয় এবং এই কমিটিই ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করে।
মামলার গুরুত্ব:
এই মামলা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে চলমান ‘থ্রেট কালচার’ এবং শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কের অবনতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরে। এই মামলার ফলাফল রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও প্রভাব ফেলতে পারে।