হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে নয়া চাঞ্চল্যকর দাবি নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারের। মঙ্গলবারই হাঁসখালি কাণ্ডের তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই। এরপর বুধবারই নির্যাতিতার পরিবার দাবি করল, মৃতের বাবার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে কিশোরীর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে তা শ্মশানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন মৃতার জেঠতুতো দাদা। প্রসঙ্গত এই দাদা আবার এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, হাঁসখালিকাণ্ডে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখা দিয়েছে। ঘটনায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের দিকে আঙুল ওঠায় সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যে করেছেন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ নির্যাতিতার পরিবার থেকে বিরোধীরা। এই আবহে এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এল। যার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই অভিযোগ আগে কাউকে জানানো হয়নি। তার প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার দাবা বলেন, ‘এত দিন আমরা খুব ভয়ে ছিলাম। তবে সিবিআই তদন্ত করবে জেনে এখন সাহস পাচ্ছি।’
এদিকে ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে গতকালই হাঁসখালি পৌঁছান সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৭৬ ডি, ২০১ এবং ৩৪ ধারা ও পকসো আইনের ছয় নম্বর ধারার মামলা রুজু করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালি-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করে সিবিআই।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল হাঁসখালিতে নবম শ্রেণির এক নাবালিকা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছেলের আয়োজিত জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। রাতের দিকে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেন এক মহিলা। সেইসময় অসুস্থ ছিলেন নাবালিকা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে পরদিন হয় তাঁর। কিন্তু অভিযুক্তদের চাপে ময়নাতদন্ত বা ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।