
মেঘালয়ের শিলংয়ে হানিমুনে গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় প্রতি মুহূর্তে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী শুধু ইন্দোরেই ফিরে আসেননি, সেখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গেই থাকছিলেন। এই ‘হানিমুন মার্ডার কেস’ এখন নতুন মোড় নিয়েছে, যা দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সোনম তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং আরও তিনজনের সাহায্যে স্বামী রাজাকে হানিমুনেই খুনের ছক কষেছিলেন। ইস্ট খাসি হিলস জেলার পুলিশ সুপার বিবেক সায়েম সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে জানিয়েছেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে, সোনমের সামনেই খুন করা হয় রাজাকে।”
অভিযুক্তরা ২২ মে শিলংয়ে পৌঁছন এবং ২ জুন রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সন্দেহ করছে, ২৫ মে সোনম শিলং থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ট্রেনে ইন্দোরে ফিরে যান। সেখানেই তিনি প্রেমিক রাজের সঙ্গে দেখা করেন এবং দু’জনে মিলে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
গাজিপুর থেকে আটক সোনম, সন্দেহের দানা
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, সোনম এরপর বারাণসী হয়ে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে পৌঁছেছিলেন। সেখানেই সোমবার স্থানীয় পুলিশ তাকে আটক করে।
প্রসঙ্গত, একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে রাজা রঘুবংশীর প্রোফাইল দেখে সোনমের পরিবারের পছন্দ হয়েছিল। এরপর দুই পরিবারের মত নিয়েই তাদের বিয়ে হয়। হানিমুনে তারা মেঘালয় গিয়েছিলেন, আর সেখানেই সোনম, তার প্রেমিক এবং আরও তিনজন মিলে রাজা রঘুবংশীকে খুন করেছেন বলে পুলিশের সন্দেহ।
এই ঘটনায় সোনমের স্বামী খুনের পর ইন্দোরে লুকিয়ে থাকার এবং প্রেমিকের সঙ্গে বসবাসের বিষয়টি সামনে আসায় মামলার জটিলতা আরও বেড়েছে। পুলিশ এখন এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে। এই মামলা প্রমাণ করে দিচ্ছে যে সম্পর্কের গভীরতা এবং বিশ্বাস কীভাবে এক নিমেষে হিংসা ও বিশ্বাসঘাতকতার রূপ নিতে পারে।