ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি এবং সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ক্যানিংয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই ক্যানিং থেকে কাশ্মীরি জঙ্গি জাভেদ মুন্সির গ্রেপ্তারি গোটা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যানিংয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ক্যানিং স্টেশন এবং ট্রেনের কামরাগুলিতে চলছে জোরদার তল্লাশি।
সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হওয়ায় ক্যানিংয়ের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত সংবেদনশীল। এখান থেকে জলপথ পেরোলেই বাংলাদেশের সীমান্ত। ফলে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থেকেই যায়। প্রশাসন কোনোভাবেই ওপার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাতে বদ্ধপরিকর। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে নাশকতা এড়াতে ক্যানিং স্টেশনে রেল পুলিশ যাত্রীদের উপর কড়া নজর রাখছে এবং জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার এই স্টেশনে প্রতিটি আগত ও বহির্গামী ট্রেনের কামরায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও বিএসএফ (Border Security Force) কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সীমান্তে দফায় দফায় মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএফের স্পেশাল ডিজি। ২৩শে জানুয়ারি থেকে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ‘ওপস অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।